এশিয়ায় চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি আঘাতের পর মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। কর্মকর্তাদের মতে, বন্যায় ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় দৈনিক নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলছে, রাজধানী নেইপিদো ও এর আশপাশের এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিরিস্থিতিতে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বন্যার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য বিদেশি সাহায্যের অনুরোধ করেছে। জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্য কর্মকর্তারা প্রবল বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন সমর্থিত রেডিও ফ্রি এশিয়া বলছে, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) শুক্রবার রাজধানী নেইপিদোর কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নেইপিদো ও তার আশপাশের প্রায় ১৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে মিয়ানমারের ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বলছে, ‘বন্যা উপদ্রুত ৩০টি এলাকা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬০২ জন লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় ইয়াগি গত শনিবার আঘাত হানে ভিয়েতনামে। ইয়াগির আঘাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫০ জন মারা গেছে এবং হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডব চালায় মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন ও চীনের বেশ কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জ।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:২২ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি