সম্প্রতি ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার অভিযোগে এক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অত্যন্ত গোপনে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেয়ার জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ সংগ্রহের জন্য আদানিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকে আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য কমতে থাকার ফলে এখন পর্যন্ত গ্রুপটি প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আদানি গ্রুপ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর আদানি গ্রুপের ১১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন হারিয়েছে। বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার ১ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়লেও অভিযোগ আনার পর গ্রুপটির প্রধান কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ২০ শতাংশের বেশি।
এর আগে, গত ২০ নভেম্বর নিউইয়র্কের একটি আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, আদানি ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঘুষকাণ্ডে জড়িত ও বিষয়টি গোপন রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে অর্থও সংগ্রহ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আদানি এবং তার শীর্ষ কর্মকর্তারা ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে লাভজনক চুক্তি করেছেন। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়েছে।
জানা গেছে, আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরের দিনই কেনিয়ার দু’টি মেগা প্রকল্প হাতছাড়া হয়ে যায়। এ দুই চুক্তির কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দর সংস্কার-পরিচালনা এবং দ্বিতীয়টি হলো বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের জন্য দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি। এ দুই প্রকল্পে আদানির বিনিয়োগ করার কথা ছিল যথাক্রমে ১৮৫ কোটি ডলার এবং ৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সম্প্রতি শ্রীলংকার দু’টি মেগা প্রকল্পও হাতছাড়া হয়ে গেছে আদানির। একটি হলো ৪৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং অপরটি হলো ৭০ কোটি ডলার মূল্যের একটি গভীর সমুদ্রবন্দর।
আজ ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৫৫ | বুধবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি