বসন্তের শুরুতে বৃষ্টিবাদল এলেও, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু যখনই রোদ উঠছে, তখনই গরম টের পাওয়া যাচ্ছে ভালই। বিশেষ করে অফিস যাতায়াতের পথে ট্রেনে পাখা চালাতে হচ্ছে, ভিড়ে এসি মেট্রোতেও ভ্যাপসানি কমছে না। বসন্তের পরেই যে গরমকালটা আসে, তার প্রস্তুতি আবহাওয়া শুরু করে দেয় বসন্ত থেকেই। তাই মনোরম আবহাওয়ার বদলে গরমের হানা শুরু হয় তখন থেকেই।
আর উষ্ণতার পারদ যত বাড়ে ততই ঘামে নাজেহাল হতে থাকি আমরা। যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, এই সময়টা তাঁদের বিশেষভাবে সচেতন থাকা দরকার।
ঘাম হোক ক্ষতি নেই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ঘামের দুর্গন্ধকেও টিকিয়ে রাখতে হবে। বরং ঘাম বেশি হলে মেনে চলুন কিছু জরুরি স্বাস্থ্যকর উপায়। এতে সহজেই এড়াতে পারবেন ঘামের দুর্গন্ধ।
- ঘামের দুর্গন্ধ সরানোর প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত নিজেকে পরিষ্কার রাখা। আবহাওয়া গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বার বার স্নান শুরু করি অনেকেই। কিন্তু তাতেও যে খুব কাজ হয় এমন নয়। তবু ঠান্ডা লাগার সমস্যা না থাকলে এই অভ্যাস রপ্ত করুন। এতে ঘাম জমতে পারবে না বেশি ক্ষণ। দুর্গন্ধ এড়াতে জলে যোগ করুন এসেনশিয়াল অয়েল বা ফটকিরি। পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়েও স্নান করতে পারেন।
- শরীরে জলের অভাব হলেও টক্সিন জমবে। তার ফলে ঘামেও দুর্গন্ধ হবে। তাই জল খান পর্যাপ্ত।
- স্নানের পর ঘাড়ে, কবজিতে, কোমরের অংশে বডি মিস্ট লাগিয়ে নিন। খুব রাসায়নিকযুক্ত সুগন্ধী কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও কাজে আসবে না। বরং হালকা গন্ধযুক্ত মিস্ট ব্যবহার করুন।
- চেষ্টা করুন সব সময়ই সুতির পোশাক পরতে। এতে ঘামের পরিমাণ কমবে, ঘাম শোষণও হবে বেশি।
- কেবল ঘাম নয়, এড়িয়ে চলুন রোদে পুড়ে যাওয়াও। তাই টুপি, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। সানস্ত্রিনের এসপিএফ ছাড়াও আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তাই ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে সানস্ত্রিন লাগান।
- রোদ থেকে ঘেমেনেয়ে বাড়ি ফিরলে টমাটোর রসের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে লাগান। এতে সানবার্ন কমার সঙ্গে দুর্গন্ধও কমবে।
- পরিষ্কার রাখুন আন্ডারআর্ম। এই অংশ চাপা থাকায় এখানে ঘাম জমে বেশি। পরিষ্কার থাকলে ঘাম জমে থাকার সম্ভাবনা কমবে।
- গরম কালে মোজা পরলে অবশ্যই রোজ মোজা কাচুন। মোজা পরার আগে পায়ে হালকা পাউডার (চিকিৎসক প্রস্তাবিত) লাগিয়ে মোজা পরুন।