গতকাল বুধবার (৫ আগস্ট) সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় টেকনাফের আদালতে হত্যা মামলা করে তার পরিবার। ঘটনার দিন উপস্থিত প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তামান্না ফারাহ টেকনাফ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
এদিকে, বুধবার সিনহা’র মৃত্যুর ঘটনায় প্রভাবমুক্ত তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। এর আগে, বুধবার দুপুরে কক্সবাজারে যান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। সেখানে সেনাপ্রধান জানান, ‘তদন্ত কমিটির ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের আস্থা আছে। এ ঘটনার দায় ব্যক্তির, কোন প্রতিষ্ঠানের নয়। সিনহার মৃত্যুকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চায় সেনাবাহিনী।’ আর পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। কমিটি যে সুপারিশ দিবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয়েছে রাশেদকে।