ডিবিএন ডেস্কঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান “ধামাকা” গত এক বছরে ৫ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ৮০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা নিয়েছে কম দামে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির নাম করে। সব গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ না করে উল্টো সহযোগী প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে ধামাকার প্রধানসহ অন্যরা মিলে ১১৬ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়। আর ধামাকার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হওয়ার পর এখন তদন্তে নেমেছে সিআইডি।
গত এক বছর ধরে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। টাকা নিয়ে পণ্য না দেয়া, ছবিতে একরকম পণ্য কিন্তু বাস্তবে মানহীন পণ্য দেয়া- এরকম প্রতারণার অভিযোগ আছে ভুরি ভুরি। এবার নতুন করে উঠে এসেছে ধামাকার নাম। গ্রাহকদের টাকা তুলে নিয়ে পাচারের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। একেবারে কম মূল্যে টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন পণ্যের লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। সেখান থেকে ১১৬ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পায় সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম) হুমায়ুন কবির বলেন, ৮শ’ কোটি টাকার মত ধামাকা রিলেটেড কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখেছি যে, তাদের ১১৬ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং হয়েছে। যেটা স্থানান্তর বা রূপান্তর বা ক্যাশ তুলে নেয়া হয়েছে- এ ধরনের একটি তথ্য আমরা পাই। প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পেয়েছি। মামলার আসামী ধামাকার কর্নধারসহ অন্য আসামীরা এখনও ধরা পড়েনি। তাদের অনেকে এখন দেশের বাইরে আছে। দেশে যারা আছে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন, ওই ব্যাপারগুলোতে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগের সন্তোষজনক কোনো ব্যখ্যা দিতে পারেনি ধামাকা। মানি লন্ডারিংয়ের যে অভিযোগ এ বিষয়ে তাদের সন্তোষজনক কোন উত্তরও দিতে পারে নি তারা।
এদিকে, ধামাকা শপিং ডট কমের ৬৫০ জন এসএমই উদ্যোক্তা মার্চেন্টের ২০০ কোটি এবং ৩ লাখেরও বেশি গ্রাহকের পাওনা ১০০ কোটি টাকাসহ মোট ৩০০ কোটি টাকা অচিরেই ফেরৎ দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেলার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।