মহাকাশ থেকে বেনু নামক একটি গ্রহাণুর বেশ বড় আকারের শিলাখণ্ড নমুনা হিসেবে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। ওসাইরিস-রেক্স নামক একটি মহাকাশযানের সাহায্যে ২০২০ সালে গ্রহাণু বেনুর পৃষ্ঠ থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। খবর নেচার জার্নাল।
ওসাইরিস-রেক্স উৎক্ষেপণের ৭ বছর পর স্থানীয় সময় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের উটাহের মরুভূমিতে বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্র যান বা ক্যাপসুলটি নিরাপদে অবতরণ করে।
নাসা জানিয়েছে, গ্রহাণুর বড়সড় নমুনা পৃথিবীতে আনার ঘটনা এটাই প্রথম। উটাহের মরুভূমিতে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য নাসার পক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এদিকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী গঠিত হওয়া এবং এখানে প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কে বড় প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে ওসাইরিসের নিয়ে আসা এই ‘মহামূল্য’ শিলাখণ্ড থেকে। এ পর্যন্ত মহাকাশের কোনো গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা এটাই সবচেয়ে বড় নমুনা। গ্রহাণুর এই উপাদান পরীক্ষা করা হবে টেক্সাসে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে। সোমবারই বিমানে করে ক্যাপসুলটি টেক্সাসে নেওয়া হবে। নাসা ধুলাগুলো পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল জানাবে ১১ অক্টোবর। নমুনার বেশির ভাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রাখা হবে। এক-চতুর্থাংশ তাত্ক্ষণিক পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে। অল্প কিছু দেওয়া হবে অভিযানের সহযোগী জাপান ও কানাডাকে। জাপানও তার ২০২০ সালের এক অভিযানে সংগ্রহ করা গ্রহাণুর ধুলার কয়েক গ্রাম দিয়েছিল নাসাকে।
গত ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা ওসিরিস-রেক্স নামের এই মহাকাশযানের ক্যাপসুলটি গ্রহাণু বেনু থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করে। বেনুর পাথুরে পৃষ্ঠাদেশে এটি অবতরণ করে ২০১৮ সালে। এর পর হীরকের মতো গঠনের কালো এই গ্রহাণু থেকে শিলাখণ্ড ও ধুলোবালির নমুনা সংগ্রহ করে ক্যাপসুলটি। নাসা জানিয়েছে, নমুনার ওজন প্রায় ২৫০ গ্রাম (৯ আউন্স) বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, জাপানি মহাকাশযান ইটাকাওয়া নামের গ্রহাণু থেকে মাত্র ৫ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল। এবারের নমুনা সেগুলোর চেয়ে পরিমাণে অনেক বেশি।
*** আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২১ | বৃহস্পতিবার ***
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি