আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে আবাসিকসহ সব ধরনের গ্রাহকের জন্য গড়ে ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে পাঠিয়েছে গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী সপ্তাহে হতে যাচ্ছে দাম বাড়ানোর আবেদনের ওপর গণশুনানি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, উচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানি আর ভর্তুকি কমাতেই নেয়া হয়েছে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ। তবে এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্যাব।
গেলো বছর উচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড়। সে অনুযায়ী গত জুনে গণশুনানিও করেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। তবে নির্বাচনের মাত্র আড়াই মাস আগে গত ১৬ অক্টোবর বিইআরসির আদেশে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে সে আদেশের মাত্র ৫ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আগামী সপ্তাহে হতে যাচ্ছে আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর আনুষ্ঠানিকতা। বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনে, সব শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে গড়ে ৬৬ শতাংশ। যার মধ্যে আবাসিকে এক চুলার দাম ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা, অপর দুই চুলার ক্ষেত্রে ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব আবেদনের ওপর গণশুনানি চলবে ১১ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এলএনজি এসেছে, এটাতে আমরা কিছুটা মূল্য রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট করতে চাই। তারপরও ভর্তুকি দিতে হবে। কারণ এটা বেশ দামী।
তবে দাম বাড়ানোর আবেদন নাকচের মাত্র ৫ মাসের মাথায় আবারো বিইআরসির গণশুনানির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের।
ক্যাবের শামসুল আলম বলেন, মানুষের পণ্য বা সেবা ক্রেতাকে দেয়ার পরই তার কাছ থেকে মূল্য দাবি করা যায়। এখন পর্যন্ত সাড়ে চারশো এমএম সিএফটি গ্যাস রেগুলার সরবরাহ হয়নি। এরপর আবার সাড়ে সাতশো সরবরাহ হবে এরকম অজুহাতে দাম পুনঃনির্ধারণ হবে এমন প্রস্তাব গ্রহণ করা বিইআরসির একতিয়ার বহির্ভূত বলে মনে করেন তিনি।
সবশেষ ২০১৭ সালের মার্চে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।