সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। পাঁচ ম্যাচ খেলে তাঁর গোলসংখ্যা পাঁচ। চারটি করে গোল নিয়ে এমবাপ্পের পেছনেই আছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ও ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু। তিন গোল করে এই লড়াইয়ে ছিলেন ব্রাজিলের রিচার্লিসন, ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকা ও মার্কাস রাশফোর্ড, স্পেনের আলভারো মোরাতা এবং পর্তুগালের গনসালো রামোস। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই। তাই এবারের গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে আছেন তিনজন—এমবাপ্পে, মেসি ও ফরাসি স্ট্রাইকার জিরু।
এর আগে চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ বিশ্বকাপে চার গোলের পাশাপাশি অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে জিতে নিয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। কিন্তু এবার শুধু সেরা খেলোয়াড়ই নয়, মেসির সামনে উঁকি দিচ্ছে গোল্ডেন বুট জেতারও দারুণ সুযোগ। কাতারে পাঁচ ম্যাচে লিওনেল মেসি করেছেন চারটি গোল। তাতে ছুঁয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল (১০) করার রেকর্ড। আর একটি গোল করলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার গড়া কীর্তি।
এবারের বিশ্বকাপে মেসি প্রথম গোল করেন সৌদি আরবের বিপক্ষে। যদিও ওই ম্যাচে সৌদির কাছে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। পরের ম্যাচেই মেক্সিকোর বিপক্ষে নিজে করেন এক গোল এবং সতীর্থকে দিয়ে করান আরো একটি গোল। শেষ ষোলোর ম্যাচেও গোলের দেখা পান ৩৫ বছরের মেসি। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাঁর রক্ষণচেরা পাসেই গোল করেন মলিনা। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান বাড়ান মেসি নিজেই।
এটাই সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে খেলা মেসির। তাই নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে কোনও খামতি রাখছেন না লিওনেল। শেষ চারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে যেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা। যদি ফাইনালের মঞ্চে যেতে পারে তবে গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার আরো সুযোগ রয়েছে মেসির।