বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গেদুচাচা খ্যাত বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং আজকের সুর্যোদয়েৱ প্রধান সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। খন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনা উপসর্গ নিয়ে সোমবার (২৯ জুন) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ফেনীর এই কৃতী সাংবাদিক। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। গত ২৭ জুন তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও রোববার অবনতি হয়।
১৯৫০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ার হরিপুর গ্রামে খোন্দকার মোজাম্মেল হক জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন রাজনীতিতে। ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অগ্রভাগে। অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে।
স্বাধীনতার পর প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক ‘আজকের সূর্যদয়’। আমৃত্যু তিনি এ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিলেন। গত শতকের আশির দশকে সুগন্ধা নামে একটি সাপ্তহিক প্রকাশিত হতো খন্দকার মোজাম্মেলের সম্পাদনায়। সেখানে ‘গেদু চাচার খোলা চিঠি’ নামে একটি কলাম লিখতেন তিনি, যেখানে সরস কথায় সামরিক শাসনের সমালোচনা করতেন তিনি। গেদু চাচার খোলা চিঠি ওই সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
‘গেদুচাচার খোলা চিঠি’তে গাঁও গেরামের নানান বয়সী ; আবাল বৃদ্ধ বনিতার সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
এই বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সাংবাদিকবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।