গত কয়েকদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্বার্থনেশী মহল পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে।এ গুজবের সাথে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক জড়িত।এক শ্রেণীর লোক আছে যাদের কাজই হচ্ছে গুজব তৈরী ও প্রচার করা।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় যারা জাতীর বিবেক হিসেবে পরিচিত সেই সাংবাদিকদের মধ্যে একটি শ্রেণী মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। এরকম ২ টি ঘটনার একটি হল,গতকাল নাটোরের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বলে অতিরঞ্জিত খবর বিভিন্ন পত্রিকা সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়। অন্যটি চাঁদপুরের এক চেয়ারম্যান সরকারী ত্রাণের চাউল উঠানোর আগেই চাউল চোর বানিয়ে সংবাদ প্রচার হয়।আমরা কেন বুজতে পারছিনা এই মুহূর্তে গুজবের কারনে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাষ্ট্র,সমাজ সর্বোপরি সাধারন জনগন বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
এই মহা দুর্যোগের সময় নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে তিন পেশার কর্মী – গণমাধ্যম কর্মী,চিকিৎসা কর্মী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের (সামরিক ও বেসামরিক)অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে,সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।এ তিন পেশার কর্মীরা করোনা যুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা,জীবনের ঝূঁকি নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে আর জনগন তাদের সহযোগীতা করতে হবে।সরকার দেশ ও জনগন হতে বিছিন্ন কোন বিষয় নয়।সাধারন জনগন এবং বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণ না করলে সরকারের একার পক্ষে এই মহামারি মোকাবেলা করা অত্যন্ত কঠিন ও দুরহ হবে।
করোনা মহামারীকে ইউরোপের জনগন আর মার্কিন সরকার অত্যন্ত হালকা ভাবে নিয়েছিল,করোনা নিয়ে তুচ্ছো তাচ্ছিল্য করেছিল ।আজ ইউরোপ ও আমেরিকা উভয়েই চরম মূল্য দিচ্ছে।সরকার ইতিমধ্যে সারাদেশকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করেছে।আশা রাখি আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিবো।
এম হাবিবুর রহমান
চীফ এঢিটর