তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন আব্দুল মুহিত সবুজ। কিন্তু লকডাউনের কারণে কোনো পরিবহন না পেয়ে নিরুপায় হয়ে উঠেন ফলসহ পণ্যবাহী ট্রাকে। রওয়ানা দেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে। ট্রাকে সফরসঙ্গী জুড়ী উপজেলার রফিক উদ্দিনসহ আরও অনেকে। তারা ভোরে শ্রীমঙ্গল শহর পাড়ি দিয়ে মৌলভীবাজার শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছান। হঠাৎ পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আকবপুর এলাকায় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে পরে ফায়ার সার্ভিসের কমীরা ঘটনাস্থলে যায়। গাড়ির ভেতর থেকে আব্দুল মুহিত ও রফিক উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। এসময় আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে উপস্থিত নিহত আবদুল মুহিতের বন্ধু মইনুল হক বলেন, ‘মুহিত গত রোববার ঢাকা গিয়েছিলেন। যাত্রীবাহী গাড়ি না পেয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে উঠেছিলেন। ট্রাকটি বিয়ানীবাজার যাচ্ছিল। আমরা সকাল আটটার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি।’
মৌলভীবাজার ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা জালাল আহমদ বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছটার দিকে আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ি কেটে সবাইকে উদ্ধার করি। আহতদের আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
নিহত আব্দুল মুহিত সবুজের (৩৯) বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার বরমচালের মাধবপুরে। তাঁর বাবার নাম আব্দুল কাদির। আর রফিক উদ্দিনের বাড়ি জুড়ি উপজেলার ফুলতলা ইউপি কোনাগাঁও গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মছকন আলী।
আব্দুল মুহিত সবুজ কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক। জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, ‘সবুজ ব্যক্তি জীবনে একজন অমায়িক ও ভালো মানুষ ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি শত বাধা বিপত্তিতেও ছিলেন অবিচল। কুলাউড়াবাসী সত্যিকারের একজন ভালো মানুষকে হারালো।’
এদিকে কুলাউড়ার স্থানীয় মানুষেরা জানান, আব্দুল মুহিত সবুজ ছিলেন একজন বিনয়ী ও ভালো মানুষ। সর্বস্তরের মানুষের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক ছিলো।