গাজায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১৫ শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। মধ্য গাজার ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় একটি পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।
এর আগে, গাজার উত্তরাঞ্চলে রাস্তার মোড়ে খেলার সময় ড্রোন হামলায় পাঁচ শিশু নিহত হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তারা ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার কিছু ছবিতে দেখো যায়, রক্তাক্ত মৃতদেহগুলো মাটিকে ছড়িয়ে রয়েছে। নিহত শিশু-কিশোরদের মধ্যে একজনের হাতে বেশ কয়েকটি কাঁচের মার্বেল আঁকড়ে ধরে থাকতে দেখা যায়।
আইডিএফ এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, আল-মুফতি নামে আরো একটি স্কুলে হামলায় আরো বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। গাজার আশেপাশের শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। এ ছাড়া এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সবচেয়ে বেশি সংঘাতের খবর আসছে উত্তরাঞ্চলে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী একটি বড় স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আক্রমণ জোরদার করছে। ইতোমধ্যেই সেখানে কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বেইত হানুন, জাবালিয়া এবং বেইত লাহিয়ার বাসিন্দারা গাজা সিটির কাছাকাছি এলাকা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে।
সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, রেড ক্রসের সঙ্গে একটি যৌথ অভিযানের মাধ্যমে তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর একটি ক্যাম্পে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে চারজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬০ জনের বেশি। আহতদের মধ্যে সাতজন সেনা সদস্য রয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম