টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় অব্যাহত হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। দেশটির বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
মাসের পর মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু বলছে জাতিসংঘ। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জাতিসংঘের তথ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায় যে, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এসব মরদেহের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ মহিলা এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক রয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।
জেনেভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।
তারপরও এই পরিসংখ্যান বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান ক্রিশ্চিয়ান। তিনি বলেন, গাজায় এখনও হাজার হাজার মানুষের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে। এদের মধ্যেও বিপুল সংখ্যক নারী এবং শিশু রয়েছে।
সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে বলে জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম