বরগুনার তালতলীতে গাঁজা ক্রয় করে ফেরার পথে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত দুইজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়াও ১১ পিস ইয়াবাসহ অপর এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বড় অংকুজান পাড়া এলাকার খবির উদ্দিনের ছেলে জসিম খান(২০) ও দেলোয়ার গাজির ছেলে সাইদুল ইসলাম গাজি (২৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজান পাড়া এলাকায় মাদক সেবনকারী জসিম খান (২০) ও সাইদুল ইসলাম গাজি (২৭) গাঁজা ক্রয় করেন মাদক ব্যবসায়ী খলিল জোমাদ্দারের কাছ থেকে। গাঁজা ক্রয় করে ফেরার পথে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞেস করা হয়। এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গাঁজা সেবনকারী দুইজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় জব্দকৃত গাঁজা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ঠংপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাহুল মৃধা (২৮)কে ১১ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। আটক রাহুল বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার হোগলা গ্রামের মহারাজ মৃধার ছেলে।
আটককৃত জসিম খান ও সাইদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে স্বীকার করেন, স্থানীয় খলিল জোমাদ্দারের কাছ থেকে গাঁজা ক্রয় করেন । বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে গাঁজা ক্রয় করে সেবন করেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, খলিল জোমাদ্দারের কাছ থেকে গাজা কিনে ফেরার পথে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা গাঁজা সেবনকারী দুজনকে আটক করি। পরে পুলিশ ও ইউএনও কে খবর দেই। এসময় গাঁজা বিক্রেতা খলিল জোমাদ্দার পালিয়ে যায়।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, গাঁজা ক্রয় করে ফেরার পথে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন দুই গাজা সেবন কারীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি