আমেরিকার নির্বাচন দেখে বাংলাদেশের নির্বাচনের অভিযোগের কথা ভুলে গেছি। এতদিন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েই অভিযোগ শুনে এসেছি। নির্বাচন এলেই আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আর তাদের পর্যবেক্ষকরা সার্টিফিকেট দিয়েছে। এখন খোদ আমেরিকাতেই প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৫ দিন পরেও নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি। অভিযোগ করছে মৃত ব্যক্তির ভোটও গণনা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা অস্ত্রহাতে রাস্তায় মহড়া দিচ্ছে। বিজয়ী হওয়ার পরও জো বাইডেন কে অভিনন্দন জানায়নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শান্তিপূর্ন ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হতে চলেছে আমেরিকায়। দায়টি কার?
জনগণের ভোটে এবং ইলেক্ট্রোরাল ভোটে জো বাইডেন এগিয়ে। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী জো বাইডেনই এখন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং জানুয়ারির ২০ তারিখে তার ক্ষমতা গ্রহণের কথা। আমেরিকার ইতিহাসে এর ব্যাত্যয় হয়েছে কিনা জানা নেই। তাহলে এবার এমন কি ঘটেছে যে নির্বাচনের প্রথাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে? বহু নির্বাচনেই পুনর্গণনা হয়েছে কিন্তু, নির্বাচনের ফলাফল চ্যলেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়নি। রিপাবলিকান দলের নেতারা যে সব অভিযোগ উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন তা সত্য প্রমাণিত হলে আমেরিকার গণতন্ত্র এখন হুমকির মূখে। নির্বাচনী সন্ত্রাস এবং অর্থের ছড়াছড়ি অনেকেরই মনে গণতন্ত্র নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশেও বি এন পি নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিত্য অভিযোগ করে চলেছে। এসব দেখে এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে, গণতন্ত্রের অন্য কোন উপায় খুঁজে পাওয়া যায় কিনা!
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
৭ নভেম্বর ২০২০।