কলকাতার প্রথম সারির দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) পত্রিকায় ‘ভ্রম সংশোধন’ দিয়ে ক্ষমা চায় আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ।
আনন্দবাজার ভ্রম সংশোধন শিরোনামে লিখেছে, ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শীর্ষক খবরে খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ’অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’ এই শব্দের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইলেও ‘নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা’ এই বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়নি। অর্থাৎ ঢাকার যে দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন তাঁরা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে কথা বলেনি কলকাতার এই পত্রিকাটি।
গত ২০ জুন আনন্দবাজার পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্যিক লগ্নি আর খয়রাতির সাহায্য ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চীনের নতুন নয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের অনেক নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আনন্দবাজারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি কুদ্দুস আফ্রাদও খবরে এই শব্দ ব্যবহারে প্রতিবাদ জানান গত ২১ জুন। তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই এ রিপোর্ট আমার লেখা নয়। আমি নিজে এ রিপোর্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই শব্দ ব্যবহারের বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভের বিষয়টি আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরে ডিজিটাল ভার্সনের অঞ্জন রায়ও একই কথা জানান। কিন্তু আনন্দবাজার সে বিষয়ে বক্তব্য দেয়নি- অর্থাৎ এটি ডেস্ক রিপোর্ট কি না তা স্পষ্ট করেনি।