বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, আগে খেলাপি ঋণের তথ্য লুকানো হতো, তবে এখন সেই তথ্য প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ কোটি টাকা বা তার বেশি হতে পারে এবং পুরো তথ্য প্রকাশিত হলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটিরও বেশি হতে পারে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে অডিট চলছে। প্রকৃত খেলাপি ঋণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারী) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আরো জানান, গত পাঁচ মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করেছে, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং ডলার বাজার স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীলতা এখনো ফিরে আসেনি। তবে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা পাচার হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এসব তথ্য শেয়ার করছে না।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে হুসনে আরা শিখা বলেন, এরই মধ্যেই একাধিকবার নীতি সুদ বাড়ানো হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। যদি না আসে, তবে সুদহার আবারো বাড়ানো হতে পারে। তবে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত সুদ হার নিয়ে অখুশি, কারণ এর ফলে তাদের ঋণ খরচ বেড়ে যায় এবং বিনিয়োগের গতি ধীর হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ কমার জন্য শুধু সুদের হার দায়ী নয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো আরো অনেক কিছু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি কমাতে পারবে না।
আজ ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:০২ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি