ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন জামায়াত নিয়ে প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে যাওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তিনি মানুষের মুখ বন্ধ করে দিতে চাইলেও মানুষের মুখ বন্ধ হবে না। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শুক্রবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আলোচনায় এ কথা বলেন দলীয় প্রধান। এর আগে সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান ড. কামাল হোসেন। সাংবাদিককে ধমকের সুরে তিনি বলেন, কার কাছ থেকে কত টাকা খেয়ে এই প্রশ্ন করেছেন। আর ওই সাংবাদিকের নাম জেনে তাকে চিনে রাখার কথাও বলেন। এবারের নির্বাচনে কামাল হোসেন বিএনপিকে নিয়ে জোট করেছেন। পাশাপাশি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আরেকটি জোট ২০ দল রয়েছে। আসন বণ্টনে দুই জোটের মধ্যেই হয়েছে সমন্বয়। আর জামায়াতের মতোই গণফোরাম এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিকরাও ব্যবহার করছে ধানের শীষ মার্কা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খামোশ বললেই মানুষের মুখ খামোশ হবে না।’ ‘তাদের কাছে আমার প্রশ্ন যারা এত বড় অপরাধ করলো আর যে পাকিস্তানি বাহিনীকে আমরা পরাজিত করলাম তাদের এই দোসরদের যখন ধানের শীষে মনোনয়ন দেয়া হলো আর এই ধানের শীষ নিয়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিল তারা একই সঙ্গে কীভাবে নির্বাচন করবে?’ ‘এ প্রশ্নের উত্তর তারা জাতির কাছে দিতে পারবে কি না? তবে হ্যাঁ তাদের লজ্জা একটু কম লাগে বলেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে খামোস বলতে পারে।’ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীর স্বজন, বাংলা ভাই ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মনোনয়ন দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ ড. কামাল, সুলতান মনসুর, কাদের সিদ্দিকী, মান্নার এত আবেগ দিয়ে জ্ঞানগর্ভ লিখা এত বিবেক! কোথায় গেল সেই বিবেক? ওই ধানের শীষে তার আজকে নির্বাচন করছে। রাজনীতিকে কোথায় নামিয়েছে?’ ‘তারা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে দেশের ভাগ্যে কী ঘটবে সেটাই আমার প্রশ্ন।’