মৌলভীবাজারের বড়লেখায় টিলা কাটার মামলা দায়েরের ২৮ মাসেও আদালতে অভিযোগপত্র দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। ফলে এই মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এতে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের আইনের আওতায় নেওয়া যাচ্ছে না।
পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে অবহেলার কারণে গত ৪ অক্টোবর বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ ব্যাখ্যার নোটিশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আদালতে জবাব দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল।
এদিকে গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় গনমাধ্যমে ‘বড়লেখায় টিলা কর্তন ও হাকালুকির জলজবৃক্ষ নিধন মামলা তদন্তে ঢিলেমি’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বৃহস্পতিতার ধার্য তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নুরুল আমিন প্রধান বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগপত্র দাখিল বিলম্বিত হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থণা করে আরও ৩ মাস সময় চেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের জি.আর.ও পিযুষ কান্তি দাস জানান, ‘তদন্ত শেষ করার জন্য মামলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও ৩ মাস সময় নিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের গৌড়নগর এলাকায় প্রাকৃতিক টিলা কাটার ঘটনায় ২০২০ সালের ২৩ জুলাই বড়লেখা থানায় দুইজনের নামে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। আসামিরা হচ্ছেন- গৌড়নগর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে নজমুল ইসলাম ও হাবিব আলীর কামরুল ইসলাম। কিন্তু মামলা দায়েরের ২৮ মাসেও আদালতে অভিযোগপত্র দেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।