ভারতের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ফের হোঁচট খেল ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বিজেপিকে হারিয়ে ৮১ আসনের বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করে জোট সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও বেলা গড়াতেই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিজেপির হার স্পষ্ট হয়ে উঠে।
এখানে বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গঠন করতে হলে ৪১ আসন প্রয়োজন। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না করা হলেও দেশটির বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল বলছে, গতবারের চেয়ে ২২ আসন বেশি পেয়ে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ৪৭ আসনে জয়ী হয়েছে।
অপরদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার ১২টি আসন খুইয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকি আসনগুলোতে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলো জয়ী হয়েছে। এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে তখন এই রাজ্যের ১৪ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল দলটি।
ঝাড়খণ্ডে এবারের নির্বাচনে অন্তত ৭৫টি আসনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু খোদ দলটির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস তার নির্বাচনী এলাকা জামশেদপুর পূর্ব আসনে হেরে গেছেন। আসনটিতে জিতেছেন রাজ্যের সাবেক এক মন্ত্রী, যিনি একসময় বিজেপিতে ছিলেন। এছাড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতিও নিজ আসনে হেরেছেন।
এ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলোর বেশির ভাগ কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটকে এগিয়ে রেখেছিল। জয়ের খবরে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। পাশপাশি জোটসঙ্গীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পরাজয়ের আভাস পেয়ে এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে বলেছেন রাজ্যপাল।
বিজেপির হার প্রসঙ্গে রঘুবর বলেন, আমাদের আশা অনুযায়ী জনমত হয়নি। হেমন্ত সোরেনকে অভিনন্দন। আশা করি, নতুন সরকার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই হারের পর্যালোচনা করা হবে।
২০০০ সালে গঠিত ঝাড়খণ্ড রাজ্য গত মাসে ২০ বছরে পা দিয়েছে। এটি রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন। এ দিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়ে চলে ৪টা পর্যন্ত।সুত্র : সময় নিউজ