তিমির বনিক, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে সনাতনী ধর্মালম্বীদের দেবোত্তর স্থান ভৈরব থলীর ৪শত বছরের পুরনো একটি গাছের ডাল কেটে পুরো গাছ ছাটাই করেছে জনৈক জালাল খান নামের এক ব্যক্তি, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের সবুজবাগ এলাকার সনাতনী ধর্মালম্বীদের দেবোত্তর স্থান ভৈরব থলীতে ৪শত বছর পুরনো একটি গাছের থলীতে সনাতনী বিভিন্ন কৃতি কার্য পূজা পার্বণের স্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জনৈক জালাল খান নামক এক ব্যাক্তি সে ৪শ বছর পুরনো গাছটি পুরোদম না কাটলেও গাছের একটি পাতা সহ ডাল রাখেন নাই।
এসময় এলাকাবাসী জনৈক ব্যাক্তি জালাল খানকে বাঁধা দিলেও সে বাঁধা অমান্য করে গাছের ডাল পালা সব কেটে ফেলেন। এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে যাঁহারা এর প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছিল তাদের কে বিভিন্ন রকমের খারাপ আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এলাকার বাসিন্দার কাউকে কোন রকম কোন তুয়াক্কা না করেই রীতিমতো সনাতনী ধর্মালম্বীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছেন বলে অভিযোগ করেন।
সনাতনী নিরীহ এলাকা বাসী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের স্থানটি এইভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হলো যা কিছুতে মেনে নিতে পারছি না। বরং অভিযোগ কারী ব্যাক্তিগন এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন কখন আবার ওনাদের উপর যে কোন সময় হামলা চালানো হতে পারে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। তবে, এর সত্যতা থাকলে অবশ্যই ব্যবস্তা নিবেন।
তিনি আরো বলেন, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে অবগত করার জন্য। ভুক্ত ভোগী এলাকাবাসী জনৈক জালাল খানকে এতটা ভয়ংকর রকমের ভয়ের কারনে প্রভাবশালী বলে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ও অভিযোগ করেননি।
এ বিষয়ে জালাল খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উনার বাড়ির রাস্তায় পাতা পড়ে ময়লা হয় এজন্য গাছের ডাল পালা সব কাটতে বাধ্য হন।