ঈদের ছুটিতে ঢাকা শহর প্রায় ফাঁকা। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। হাতেগোনা ক্রেতা-বিক্রেতা থাকলেও বাজারে কমছে না সবজি, মাছ ও মুরগিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুন) পুরান ঢাকার শ্যামবাজার, মালিবাগ, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর, কালীগঞ্জ এবং রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারগুলোয় লাগামছাড়া কাঁচা মরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের দাম। একদিকে ঈদ, অন্যদিকে বর্ষকালে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। আর ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে বিক্রেতারা কাঁচা মরিচের দাম বাড়াচ্ছেন। এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এদিকে, বাজারে অন্যান্য সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিটি সবজি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতিকেজি করলা ১২০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা ও শসা ৫০ টাকা।
দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি আদা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়।
ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজারও। আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি দেশি মাগুর ১ হাজার ৩০০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার ৪০০ টাকা ও শোল ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৮০০, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন