ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে ক্রিস গেইল যেন ফিরে গিয়েছিলেন নিজের সেরা সময়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দলে বেশ কিছুদিন পর সুযোগ পেয়েই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চার ইনিংসে দুটি করে অর্ধশতক আর শতরানে করেছেন ৪২৪ রান, হয়েছেন প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ। তবে সিরিজটা শুরুর আগেই নিজের বিদায়ের সময়রেখা নির্ধারণ করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের পরই ওয়ানডে থেকে বিদায়ের কথা জানিয়েছিলেন। তবে ব্যাট হাতে যে খুনে মেজাজ আর ফর্মে আছেন, তাতে প্রশ্ন উঠেছে কতদিন আর খেলবেন তিনি? সত্যিই কি বিশ্বকাপটা ওয়ানডেতে গেইলের শেষ টুর্নামেন্ট?
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ১৬২ রান করার পর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হয়তো তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে। পরবর্তী সময়ে হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান দাবি করেন, ৬০ বছর বয়সেও এখনকার মতো বিধ্বংসী মানসিকতাই থাকবে তাঁর এবং তখনো এভাবেই ব্যাটিং করবেন তিনি। কিন্তু পঞ্চম ওয়ানডের পর জানালেন, এটাই ছিল ক্যারিবিয়ার মাটিতে খেলা তাঁর শেষ ওয়ানডে।
পুরো সিরিজে রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন এই ব্যাটিং জায়ান্ট। কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার পর দ্বিতীয় উইন্ডিজ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ছুঁয়েছেন ১০ হাজার রানের মাইলফলক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শহীদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক বনেছেন এই সিরিজেই। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে মেরেছেন ৩০০ ছক্কা। পাশাপাশি ওয়ানডেতে একটি সিরিজে রোহিত শর্মার ২৩ ছক্কার রেকর্ড ভেঙে গড়েছেন ৩৯ ছক্কা মারার অবিশ্বাস্য রেকর্ড।
দারুণ এসব কীর্তি গড়ার পর সংবাদমাধ্যমকে গেইল বলেন, ‘এক সিরিজে ৩৯টি ছক্কা, এই বয়সে এসে বিশাল একটা ব্যাপার। তবে ৬০ বছর বয়স হলেও আমার মানসিকতা এমনই থাকবে।’
ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও স্বঘোষিত ‘ইউনিভার্স বস’ জানান, বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা চালিয়ে যাবেন। ৩৯ বছর বয়সী এই মারকুটে ব্যাটসম্যান বলেন, বয়স ৬০ হয়ে গেলেও তাঁর ছক্কা মারার ক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে না। লফটেড ছক্কা মারার ভঙ্গিতে গেইল বলেন, ‘বিশ্বসেরা যেকোনো বোলারের বিপক্ষে রান করার যে ক্ষমতা আমার আছে, সেটা কখনো বদলাবে না। তবে খেলার জন্য শরীরের সায় থাকবে কি না, সেটাই ভাবার বিষয়।’
সূত্র : এন টি ভি