আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় দাবানলে কমপক্ষে ৬ জন মারা গেছেন। দাবানলের পাশাপাশি রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ১১ হাজার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় এত বেশি বজ্রপাতের ঘটনা আর ঘটেনি। এর ফলে প্রায় ১০৮৫ বর্গ মাইল এলাকা পুড়ে গেছে যা রাজ্যটির সবচেয়ে বড় শহর লস এঞ্জেলেসের প্রায় দ্বিগুন এলাকার সমান। খবর ভয়েস অব আমেরিকা’র।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আমেরিকার রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের চেয়েও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তার লাভ করেছে এ দাবানল এবং এ পর্যন্ত ৫০০’র বেশি ঘর বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাইলের মধ্যে চলে এসেছে দাবানল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৫৬০টি জায়গায় তারা আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে নতুন করে আর কোথাও ইউনিট পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বাইরে থেকে মাত্র ৪৫টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট সাড়া দিয়েছে অথচ ৩৭৫টি ইউনিট সাড়া দেয়ার মতো অবস্থায় ছিল।
গত দুই দশকের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াতে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবদাহ চলছে এবং গ্রীষ্মকালীন বজ্রপাত থেকে এসব অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়েছে। দাবানলের কারণে অন্তত এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে।
দাবানল কবলিত এলাকায় জরুরী অবস্থা জারি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম। তিনি জানান, ক্যালিফোর্নিয়ায় গত কয়েক দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ফারেনহাইট এ যা ছিল ১৩০ ডিগ্রি বা প্রায় ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমান। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন প্রচন্ড বাতাস, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আর বাতাসে আদ্রতা কম থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।