সাতক্ষীরা শহরের শিমুল ক্লিনিকের এক নার্সকে কোমল পানীয়’র সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় ধর্ষক ডা. রিয়াজুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ দুইদিন ক্লিনিকে আটকে রেখে ধর্ষণের খবর পেয়ে ওই নার্সকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার এক কিশোরী ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল খুলনা রোড এলাকার শিমুল ক্লিনিকে নার্সের চাকরি নেয়। চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই তার উপর নজর পড়ে ওই ক্লিনিকের ডাক্তার রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের।
সে প্রায়ই ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে রিয়াজ কৌশলে কোমল পানীয়’র সাথে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে কর্মচারী মাহমুদ ও ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ দু’জনে তাকে ক্লিনিকের তিন তলা থেকে ছাদের উপর নিয়ে ধর্ষণ করে।
এদিকে, রাত সাড়ে তিনটার দিকে জ্ঞান ফেরার পর সে বাইরে আসার চেষ্টা করলে তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুন। ডাক্তার রিয়াজুলের সাথে তাকে বিয়ে দিবে এই প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য ওই কিশোরীকে প্রস্তাব দিয়ে দুইদিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে শহিদুল। তাকে বাইরের কারও সাথে যোগাযোগও করতে দেয়নি তারা।
এদিকে, দু’দিন ধরে ওই কিশোরীর কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সদর থানায় পুলিশকে জানায়। পরে শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে সদর থানা পুলিশ শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৭৭।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে ধর্ষক ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন।