মহামারী করোনায় পুরো বিশ্বে এ পর্যন্ত ৩০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কানাডায় সংক্রমিত হয়েছে ৪৫ হাজার এবং প্রায় আড়াই হাজার মারা গেছে। এর মধ্যে কিউবেক প্রদেশেই মারা গেছে ১৪৪৬ জন।
করোনায় কিউবেকের মন্ট্রিল শহরে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তবে এর কারণ জানিয়েছেন নার্সদের সংগঠনের সভাপতি নাতালিয়া স্টেক ডসেট। তার বর্ণনায় ফুটে উঠেছে করোনায় কিউবেক শহর মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়ার ঘটনা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাতালিয়া জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রোগীদের সেবা দিতে তিনি কিউবেক প্রদেশের মন্ট্রিলে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে ১৮০টি পরিবারের একটি বৃদ্ধাশ্রম গ্রাম আছে।
তিনি জানান, এই শহরে মৃতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ মানুষই বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা। তারা নিজেদের ঘরেই মারা গেছে। বৃদ্ধাশ্রমগুলো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তা দ্রুত অন্যদের সংক্রমিত করতে শুরু করে। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। তবে এই বৃদ্ধাশ্রমগুলো কোনো হোটেল বা হোস্টেল নয়। সেখানে শুধু বৃদ্ধরা থাকেন।
নাতালিয়া জানান, একটি বৃদ্ধাশ্রমে তারা গিয়ে দেখতে পান সেখানে ৩১ জন মারা গেছেন। এটি ছিল মার্চের ১৩ তারিখের ঘটনা। আমরা তাদের জন্য কিছু করতে পারিনি। এজন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
কানাডায় করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে লিয়ান ভ্যালি কেয়ার হোমে। যেটি শহরে নর্থ ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত। এটি অন্টারিও শহরের একটি ছোট্ট এলাকা। কিউবেক প্রদেশে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৪৩ জনের। যারা মারা গেছে তাদের প্রায় সবারই বয়স ৬০ বছরের উপরে। সুত্রঃ আল-জাজিরা।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি