রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হাসপাতাল থেকে গত ১৬ জানুয়ারি এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত ব্যক্তির শ্যালক ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তিন ঘণ্টার মধ্যে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার ও দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
টোল ফ্রি জাতীয় জরুরী নম্বর ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা পাওয়ার সেবাটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এটি উদ্বোধন করেন।
এক বছরেই এই নম্বরে ফোন করে সেবা নিয়েছে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা নিয়েছে সারা দেশের মানুষ।
যুক্তরাজ্যেও জরুরি পরিষেবার নম্বর ৯৯৯-এর সুনাম অনেক। তবে গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) দেশটির ডেভন কাউন্টির বন্দরনগরী এক্সমুথের একটি পরিবারের ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে বাংলাদেশের কাছে পিছিয়ে পড়েছে তারা।
গুরুতর আহত হওয়া এক বৃদ্ধার পরিবার ৯৯৯-এ ফোন করেন। কিন্তু জরুরী অ্যাম্বুলেন্সের দেখা পেয়েছেন প্রায় সাত ঘণ্টা পর। জরুরী সেবা হলেও এই সেবা পৌঁছানোর আগেই ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে লন্ডন থেকে বাড়ি পৌঁছে যান বৃদ্ধার ছেলে।
কর্তৃপক্ষের যুক্তি, চলতি সপ্তাহে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাঁরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে তাঁরা বলেন, আরও গুরুতর রোগীকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে তাঁরা সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেননি।