দীর্ঘ ১৩ বছর পর বক্স অফিসে শুরুটা কেমন করবে ‘অ্যাভাটার টু’, তা জানার আগ্রহ ছিল সকলের। জেমস ক্যামেরনের এ সিনেমাকে ঘিরে দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে।
প্রথম সিনেমা ‘অ্যাভাটার’ এর দুর্দান্ত সাফল্যের পর সিক্যুয়েল আসার ঘোষণার পরই সে প্রত্যাশা টের পাওয়া যায় নেট দুনিয়ায়। এবার, সেই প্রত্যাশার প্রভাব দেখা গেলো সিনেমাটির বক্স অফিস কালেকশনেও।
গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত ও প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। লন্ডনে সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। বক্স অফিস আয়েও দেখা গেলো এরই প্রতিফলন।
জানা গেছে, প্রথম উইকএন্ডেই এ সিনেমার বিশ্বব্যাপী আয় ছাড়িয়ে গেছে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মহামারী পরবর্তী সময়ের হিসেবে এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। তালিকার প্রথম দুই অবস্থানে রয়েছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ: ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ এবং ‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’ সিনেমাগুলো।
মুক্তির প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক বক্স অফিস মাতিয়ে যাচ্ছে ‘অ্যাভাটার টু’। মোট আয়ের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলারই এসেছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। বাকিটা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস থেকে। প্রথম তিন দিনের আয়ে এটি টম ক্রুজের ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’র চেয়ে ৮২ শতাংশ এবং ‘অ্যাভাটার’র চেয়ে ৭৮ শতাংশ এগিয়ে।
যদিও হলিউড বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, ‘অ্যাভাটার টু’র জন্য এরকম উইকেন্ড প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এর অন্যতম কারণ চীনের বাজারে সিনেমাটি সুবিধা করতে পারছে না। সেখানে প্রথম তিন দিনে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু হয়েছে মোটে সাড়ে ৫৭ মিলিয়ন ডলার। তবে ভারতের বাজারে দারুণ ব্যবসা করছে এটি। প্রথম তিন দিনে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি আয় করেছে সিনেমাটি। সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক আয়ে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ এগিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের।
প্রসঙ্গত, অস্কারজয়ী ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৯ সালে। দ্বিতীয় পর্বের জন্য দর্শকদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩ বছর। আর এ সময়ে সবকিছু বদলে গেছে ব্যাপকভাবে। যদিও আরও তিনটি সিক্যুয়েল জুড়ে বলার মতো একটি গল্প রয়েছে। যদি ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে আগ্রহের জন্ম না দেয়, তবে সেখানে ছাঁটাই করা যেতে পারে। সে বিবেচনায় ‘অ্যাভাটার ৩’ হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ সিনেমা!