সরকারিভাবে নওগাঁ জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৬০ হাজার ৭৬১ মেট্রিকটন চাল এবং ১৬ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে। সরকার এ বছর কৃষকদের সুবিধার্থে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৪৪ টাকা দরে ক্রয় করবে। রবিবার বেলা ১১ টা থেকে অন্য কয়েকটি জেলার সাথে নওগাঁ জেলায় চলতি বোরো মওসুমে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্য বিভাগ এ তথ্য দিয়েছে।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বোরো মওসুমে ধান চাল ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠান স্থানীয়ভাবে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ অংশে সদর আসনের সংসদ সদস্য বারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম, সস্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ জেলা খাদ্য তানভির হোসেন, জেলা চাউলকল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদারসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
খাদ্যবিভাগের দেয়া তথ্য মোতাবেক উপজেলা ভিত্তিক ধান ও চাল ক্রয়ের নির্ধারিত লক্ষমাত্রা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৫৪৯ মেট্রিক টন ও চাল ২৩ হাজার ৫৮৬ মেট্রিক টন, রানীনগর উপজেলায় ধান ১৬০৩ মেট্রিকটন ও চাল ৩০৭৩ মেট্রিকটন, আত্রাই উপজেলায় ধান ১৫৭৫ মেট্রিকটন ও চাল ৭৪৮ মেট্রিকটন, বদলগাছি উপজেলায় ধান ৯৮৮ মেট্রিকটন ও চাল ১৮৩ মেট্রিকটন, মহাদেবপুর উপজেলায় ধান ২৩৮২ মেট্রিকটন ও চাল ২৬, ৮৩৮ মেট্রিকটন, পত্নীতলা উপজেলায় ১৬৪৮ মেট্রিকটন ও চাল ২২২৫ মেট্রিকটন, ধামইরহাট উপজেলায় ধান ১৫৭৯ মেট্রিকটন ও চাল ৬৬০ মেট্রিকটন, সাপাহার উপজেলায় শুধু ধান ৪৯০ মেট্রিকটন, পোরশা উপজেলায় ধান ৬৮৮ মেট্রিকটন ও চাল ২৪৭৩ মেট্রিকটন, মান্দা উপজেলায় ধান ১৬৬৩ মেট্রিকটন ও চাল ৪১১ মেট্রিকটন এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ধান ১৯১০ মেট্রিকটন ও চাল ৫৬৪ মেট্রিকটন।
খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যমে সদর, মহাদেবপুর, রানীনগর ও পোরশা উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে ধান এবং ডিজিটাল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নওগাঁ সদর ও মহাদেবপুর উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে চাল ক্রয় করা হবে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি