কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমরা সবাই কৃষক পরিবারের সন্তান। কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। আমরা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চাই। এজন্য, সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ যা দরকার, তাই দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদরদী ও কৃষির বিষয় খুবই আন্তরিক। এই আন্তরিকতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। বর্তমানে সার, বীজ, সেচ, বিদ্যুৎ প্রভৃতির কোন সংকট নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষি উপকরণের কোন সংকট হবে না।
তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে ও মজুত রয়েছে, তাতে মজুতদারি না হলে এই মুহূর্তে চাল আমদানি করতে হবে না। জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে চালের দামও বাড়বে না।
চালের মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসক’কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এসময় নির্দেশ তিনি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, বৃহত্তর সিলেটে প্রচুর জমি পতিত পড়ে থাকে। এগুলোকে চাষের আওতায় আনতে একটি মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার।
পরে মন্ত্রী সদর উপজেলার গিয়াসনগরে চা-শ্রমিকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে মন্ত্রী শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব উপস্থিত ছিলেন।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:২২ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি