কুয়েতে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আল কাবাস পত্রিকা জানায়, মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহ’র বিরুদ্ধে পাপুলের কাছ থেকে ঘুষের বিনিময়ে বেশ কিছু কাজ দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে সময় তিনি কুয়েতের নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট ও বসবাসের অনুমতি বিষয়ক দপ্তরের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি পদে আসীন ছিলেন।
পাপুলকে রিমান্ডে নেয়ার পরে পাপুল যাদের কথা উল্লেখ করেছিলেন তাদের মধ্যে মাজেন আল-জারাহ অন্যতম। রিমান্ডে ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনের জন্য ঘুষ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন পাপুল।
এর পরেই কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারির পদে থাকা মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্তের আদেশ দেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ৩০ জুন বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে আর্থিক লেনদেনে সহায়তা ও ঘুষ গ্রহণের জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্ত করা হয়।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল সালেহ এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন।
মঙ্গলবার আরব টাইমস জানায়, এমপি পাপুল ঘটনায় তদন্তের পর ওই মেজর জেনারেলের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কুয়েতে আদম ব্যবসায় অনিয়ম এবং হাজার কোটি টাকার কারবারে জড়িত সন্দেহে গত ৬ জুন সংসদ সদস্য পাপুল দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সর্বশেষ গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।