অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে চলছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ফলে হাসপাতালের মেঝেতেই গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার বিকালে এ চিত্র চোখে পড়ে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৫৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিল। এদের মধ্যে শিশু ৪২ জন। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আরও ১৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। সূত্র আরও জানায়, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দৈনিক গড়ে ৪৭ জন রোগী চিকিসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিল। যা ওই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যার ৪ গুণ বেশি।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সেবিকা আসমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ শয্যার এই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে শয্যা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ডায়রিয়া আক্রান্ত ১৮ মাস বয়সের শিশু রাফিয়া মনিকে নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছালেহা বেগম। শয্যা না থাকায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা পেতে শিশুর চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। ছালেহা বলেন, সন্তানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু ভীড়ের কারণে আমি নিজেই অসুস্থ হওয়ার আশংকা করছি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পুলক কুমার সরকার জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার তুলনায় শয্যা এবং ডাক্তার পর্যাপ্ত না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৬০ জন নার্স দিয়ে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে রোগীর স্বজনদের সচেতন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।