তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউপি পরিষদের নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছেন।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার টিলাগাঁও, হাজীপুর ও শরীফপুর ইউপিতে ও ২১ নভেম্বর রোববার রাত ৮টার পর উপজেলার রাউৎগাঁও, পৃথিমপাশা ও কর্মধা ইউপিতে নির্বাচন আচরণবিধি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩৩ প্রার্থীকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম। এসময় কুলাউড়া থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন আচরণবিধি (দেয়ালে লিফলেট ও পোস্টার লাগানো, ডাবল মাইক ব্যবহার, নির্বাচনী কার্যালয়ে গেইট তৈরি) লঙ্ঘনের দায়ে সোমবারের অভিযানে টিলাগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক (আনারস) ৫ হাজার টাকা, নৌকার প্রার্থী মোঃ আব্দুল মালিককে ৫ হাজার টাকা, হাজীপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু (ঘোড়া) ৫ হাজার, নৌকার প্রার্থী মাও. ওয়াদুদ বক্স ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মাহমুদ আলী (আনারস) ৫ হাজার টাকা, কয়ছর মিয়া (মোটরসাইকেল) ৫ হাজার টাকা, মেম্বার প্রার্থী মোশারফ হোসেন মিজু ৫ হাজার টাকা, শরীফপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব আলী (আনারস) ৫ হাজার টাকা, নৌকার প্রার্থী চিনু মিয়া ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ খলিলুর রহমান (চশমা) ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জামাল উদ্দিন (মোটরসাইকেল) ৫ হাজার টাকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আকমল (হাতপাখা) ৫ হাজার টাকাসহ তিন ইউনিয়নের আরো ৬জন মেম্বারপ্রার্থীকে ৫ হাজার ৫০০ টাকাসহ মোট ৭০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে ২১ নভেম্বর রাতে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল ৫ হাজার টাকা, নৌকার প্রার্থী আকবর আলী সোহাগ ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ইকবাল ছালাম ৫ হাজার টাকা, একজন ইউপি সদস্য ১ হাজার টাকা, পৃথিমপাশা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মন্নাফ ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিমিউর রহমান ফুল ৫ হাজার টাকা, একজন ইউপি সদস্য ১ হাজার টাকা, কর্মধা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক ৫ হাজার টাকা, আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহিবুল ইসলাম আজাদ ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুস সালামকে ৫ হাজার টাকা, একজন ইউপি সদস্য ১ হাজার টাকাসহ মোট ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার ও ইউএনও স্যারের নির্দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া আচরণবিধি মানতে প্রার্থীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। যারা বিধি ভঙ্গ করছেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের সময় নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্ত অনেক প্রার্থী সেই নির্দেশনা না মেনে আচরনবিধি লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কঠোর ভাবে বিধি প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান।