ভালো আচরণ, চলন বলন বেশ পরিপাটি আর কথাবার্তায় বেশ সাবলীল মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার এক আলোকিত কন্যা বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকা। জীবনচিত্র রূপায়নে তিনি খুব পরিশ্রম করেছেন, নিষ্টা, সততা আর একাগ্রতা ছিলো তাঁর মুল মন্ত্র। এই ধারাবাহিকতায় তার সামাজিক জীবন অতিশয় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকা কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের গৌরীশংকর গ্রামের সন্তান। তাঁর পিতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তালুকদার আইয়ুব আলী সিদ্দীকী। মা রওনক জাহান। বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকা ১৯৮৩ সালে সিলেট অগ্রগামী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মেধার স্বাক্ষর রেখে এসএসসি পাশ করেন, সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (প্রাইভেট) ও সিলেট এমসি কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। ১৯৯৭ সালে ভর্তি হন ঢাকা ল কলেজে, সেখান থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করে ২০০০ সালে বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হন। শুরু করেন অনুশীলন। ২০০৪ সালে হাইকোর্টে আর আপিল ডিভিশনে ২০২০ সালে অনুশীলন করার অনুমতি পেয়ে যান। ২০২৪ সালের ১৩ অগাস্ট-ডেপুটি এটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
এ দিকে গত ৯ অক্টোবর- খ্যাতিমান আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দীকা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বিচারপতি হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এক আলাপচারিতায়- বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকা জানান, সময় পেলেই তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ী কুলাউড়ার গৌরীশংকরে চলে আসেন। তার নিজ পৈতৃক ভিটে মাটির খোঁজ খবর নেন। খোঁজ নেন আশপাশের স্বজন, গ্রামবাসীদের। সবসময় তাঁর নাড়িপোতা মাটির মায়া অনুভব করেন। সুখ ও সমৃদ্ধিতে তিঁনি পারিবারিক জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁর স্বামী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ একটি প্রাইভেট ফার্মের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। তাদের কন্যা দিঠি একটি নামকরা স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
বিচারপতি আইনুন নাহারসহ চার ভাইবোন, মেঝো বোন নাসিরা সিদ্দীকা, ছোট বোন ড. ইয়াছমিন সিদ্দীকা ও ভাই- সিদ্দীকী জালাল উদ্দিন আন-বেরুনী রাউল মিলে তাদের পরিবার।
আজ ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৩৩ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি