কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের লতিফ শিকদার গ্রামের পীর বাড়ি থেকে মাজার খাদেম রেজাউল করিমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ আগষ্ট) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লতিফ শিকদার মাজারের খাদেম রেজাউল করিম (৬০) গত ২১ আগস্ট রোববার সকাল ৬টার দিকে মাজারের লাইট বন্ধ করার জন্য ঘর থেকে বের হন। এরপর আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে পাশের বাড়ির লতিফা বেগম নামে এক মহিলা ঘোয়ালঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘোয়াল ঘরের তালা খুলে খড়ের গাদার নিচে রেজাউল করিমের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত খাদেম রেজাউল করিমের বোন রোকেয়া বেগম বলেন, আমার ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিল। তিনি মাজারের খাদেম ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ মূল রহস্য বের করবে এটা আমি বিশ্বাস করি।
নিহত খাদেম রেজাউল করিমের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, তিনি একজন মানসিক রোগী। সব সময় আমাকে মারধর করতো। শুক্রবার রাত বারটার দিকে রান্না করা মশুরির ডালের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আমাকে ও আমার মেয়েকে খাওয়ায়। পরে আমি দেখি আমার গলায় রশি পেছিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চেপে ধরে। আমি চিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকেরা এসে আমাকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এছাড়াও আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।