মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে গাছের জাম্বুরা পাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বৈড়াকুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গত ২১ আগষ্ট শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটলেও সোমবার ওই কৃষকের বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে চিকিৎসকরা। তার মাথায় অস্ত্র পাচারের পর দিন যত যাচ্ছে ততই তার অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় সফিকের ভাই জীবর নিয়া বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পালাতক রয়েছে এবং বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন স্বজনদের।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈড়াকুরী গ্রামের কৃষক সফিক মিয়া বাড়ীর পাশের একটি গাছের জাম্বুরা পাড়েন। এ গাছটি পাশের বাড়ীর লোকজনের দাবি করে তারা এর প্রতিবাদ জানায়। বিষয়টি নিয়ে দুই বাড়ীর লোকজনের মাঝে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে ক্ষোব্ধ হয়ে পাশের বাড়ীর আল আমিন, মহসিন মিয়া, মারুফ আনাস মিয়া, মিজান, সাকিব, রবিন, আমির হোসেন কৃষক সফিকুল ইসলামসহ ৩জনকে দারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় দারালো অস্ত্রের আঘাতে সফিকের মাথার হাড় ভেঁঙ্গে মগজ বের হয়ে যায়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে প্রেরণ করা হয়। সেখানে অস্ত্রপচারের পর তার অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সফিকের ভাই জীবন মিয়া বলেন, আমার ভাই কৃষিকাজ এবং দিমজুরের কাজ করে সংসার চালান হামলার পর থেকে আমরা অনেক কষ্টে জীবনযাপন কছি। এরই মধ্যে আসামীরা মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমার ভাইয়ের বেঁচে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। আমরা এ ঘটনা যার ঘটিয়েছেন প্রশাসনের কাছে তাদের বিচার চাই। মুরাদনগর থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ বলেন, শুনেছি মারামারির ঘটনায় আহত ব্যাক্তি ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।