মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা: সরিষার উৎপাদন খরচ কম, অধিক মুনাফা হওয়ায় দিন দিন আবাদ বাড়ছে কুমিল্লা জেলাতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক পরিচর্যায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলাগুলোর বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে শুধু হলুদের ঢেউ। বাজারে ভালো দাম থাকায় চাষিরা দিন দিন সরিষাচাষে ঝুঁকছেন। সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি।
জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। উপজেলায় মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে। কৃষকের রঙিন স্বপ্ন দুলছে শিশিরভেজা সরিষার হলুদ ফুলের ডগায়। কিন্তু লাগাতার ধান-পাটসহ উৎপাদিত কৃষি পণ্যের দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন লাভজনক ফসল সরিষা চাষের দিকে।
গত মৌসুমে স্থানীয় বাজারগুলোতে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা চলতি মৌসুমে সরিষাচাষে অধিক আগ্রহী হয়েছেন। বর্তমানে এ উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুল শোভা পাচ্ছে। মৌমাছিরা সরিষা ক্ষেতে ভিড় করছে মধু সংগ্রহে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
উপজেলার একজন সরিষাচাষি বলেন, ‘কম খরচ, কম সময় আর কম পরিশ্রমে সরিষা চাষ করা যায় বলে এটি অত্যন্ত লাভজনক ফসল। প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয় ৩৫০০ টাকা। জমি থেকে চলতি মৌসুমে ৪-৫ মণ হারে সরিষা পাওয়া যাবে।আরেক কৃষক আলী মিয়া বলেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সরিষা কাটা হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ সরিষা চার হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত-জোড়া মাঠের পর মাঠ। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখর হয়ে উঠেছে মাঠ। সরিষা চাষাবাদের ফলে আমন ও বোরো ধানের মাঝে উপরি ফসল পেয়ে তাদের লাভ হয়। পাশাপাশি নিজেদের সংসারে তেলের চাহিদাও পূরণ হয়।তিনি আরও বলেন, বাজারে সয়াবিনসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে গত মৌসুমে সরিষার ব্যাপক চাহিদা ছিল। এবারও সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গাছ দেখে বোঝা যাচ্ছে, ফলন ভালো হবে। সরিষা একটি লাভজনক ঝুঁকিমুক্ত ফসল।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান