মানছুর আলম, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাত টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনার এক পর্যায়ে ফটো কন্টেস্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুনিম হাসান ভূইয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আব্দুস সালাম এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদের কুমিল্লা জেলার ডেপুটি কমান্ডার নন্দন চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মো. আবদুস সালাম বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, আনন্দের মাস। বঙ্গবন্ধু কোনো দলের না বরং এদেশের সবার নেতা। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ এই তিনটি জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু অনেক আগে থেকে ভেবে রেখেছিলেন যে এ জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।
নন্দন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়। আমরা ছিলাম পূর্ব পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা আমাদের শোষণ করত। ১৯৫২ সালে যখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য এদেশের শিক্ষার্থীরা রক্ত দেয়। সর্বশেষ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যা গরিষ্ঠের ভোটে জয়ী হওয়ার পরও তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করা নিয়ে তাল-বাহানা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা এ দেশের জনগণের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করি।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা জেলা) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, কাস্টমস এন্ড ব্যাট কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন ও মো. আল-আমীন ভূইয়া সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।