কুড়িগ্রামে ধারালো রামদা দিয়ে নিজের স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগে মোখলেসুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহেরা বেগম (৪০) ওই গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী মোখলেছুর রহমান পলাতক ছিলেন। পরে দিনাজপুর শহর থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোখলেসুর রহমান (৪৫) ও সাহেরা বেগম (৪০ ) দম্পতি ২৫ বছর ধরে ঘর শ্বশুর বাড়ীতেই সংসার করছেন। তাদের দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে ও এক ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। দীর্ঘদিন সংসার করলেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সব সময় কলহ লেগেই থাকতো।
✪ আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দুজনই ছিল। ঠুনকো কারনে দুপুর বেলা কথা কাটাকাটির করে এক পর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে জবাই করে, ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। পরে রাত ৮ টার দিকে নিহতের ছেলে মো.শামীম কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে তালা ভেঙ্গে তার মাকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আসামি মুখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত শাহেরা বেগমের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার জামাই মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। আমি সারাদিন বাইরে ছিলাম। খবর শুনে এসে মেয়ের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’