কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশিকুর রহমান আশিক হত্যা মামলার আসামি আনিসুর রহমান টিপু (৪৯) ও মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জিয়ন (৪৬)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আনিসুল রহমান টিপু কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও জিয়ন যুবলীগ কর্মী। তারা দুজন আপন ভাই।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম। এর আগে রোববার দিনগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত দুজন-কুড়িগ্রাম পৌর শহরের নাজিরা ব্যাপারি পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রউফ মন্ডলের দুই ছেলে।
জানা গেছে, আশিক হত্যার ঘটনায় জেলার তিন সাংবাদিক ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ আওয়ামীলীগের ১০৪ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি করেন। রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত আশিক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন আশিক ও তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমান মিছিলে গিয়েছিলেন। পরে আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হলে প্রথমে বাসায় আসেন। পরে আঘাতের ব্যাথায় বমি করলে ১৮ আগস্ট প্রথমে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ১ সেপ্টেম্বর আশিক মারা যান।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বলেন, আশিক হত্যা মামলার আসামি দুই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫৮ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি