সাগরে কালো তেলের বর্জ্যে ফেলায় কক্সবাজার উপকূলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক তীরে ভেসে আসছে মৃত কাছিম ও ডলফিন।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা জাহাজের জ্বালানি বর্জ্য হতে পারে। যা সমুদ্র এবং প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া সৈকত। এখানকার বালিয়াড়িতে দেখা গেছে কালো তৈলাক্ত বর্জ্য। গত ৩ দিন ধরে যা সাগরের জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে কক্সবাজার উপকূলে আসছে।
আর এ তৈলাক্ত বর্জ্যের কারণে একের পর এক সাগর তীরে ভেসে আসছে মৃত কাছিম ও ডলফিন। আর এসব মৃত সামুদ্রিক প্রাণী খাচ্ছে কুকুর ও কাঁকড়ার দল। জেলেরা জানিয়েছেন এই তৈলাক্ত বর্জ্যের কারণে সাগরে আরও মৃত সামুদ্রিক প্রাণী ভাসছে।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞ মুদাব্বির রহমান খন্দকার বলেন, এসব জাহাজের জ্বালানি বর্জ্য হতে পারে, যা সমুদ্র এবং প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। পুরো ব্রিচ এলাকায় এক ধরনের তৈলাক্ত বালু রেখা তটরেখা ঢেকে ফেলেছে। যা জীববৈচিত্রের ওপর ভয়াবহ হুমকির সৃষ্টি করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসার জানান, বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। জীববৈচিত্রের ওপর একটা নেগেটিভ প্রভাব পড়ছে এবং পরবর্তীতে সেটা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
আর সরজমিনে পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ নাজমুল হুদা।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সোনারপাড়া পয়েন্ট থেকে টেকনাফের খুড়েরমুখ পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার জুড়ে এই তৈলাক্ত বর্জ্য ও মৃত সামুদ্রিক প্রাণী দেখা যাচ্ছে।