হাজার বছরের সংস্কৃতি, আচার আচরনে সমৃদ্ধ এক জনপদ সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নান্দনিক প্রবাহমান নদী, খালবিল, সবুজ পাহাড় টিলা মিলে মিশে নিভৃত এক সমতল আর শত মনিষী ও পীর আউলিয়া সাধু সন্ন্যাসীর স্মৃতিধন্য স্থান হল কর্ণফুলী বিধৌত বোয়ালখালী।
তবে অহর্নিশি এক নাগরিক বিড়ম্বনা সমেত যাতায়াত কষ্টের সাথে নিত্য বসবাস এই জনপদের জনগণের।
এই জনপদের মানুষ গুলো তাদের যাপিত জীবনের সবকিছুতেই এই সেতুর সাথে সমন্বয় আর নিশ্চিত একটা দূর্ভোগ বিড়ম্বনা কে হাতে-পাঁচে রেখেই চলে। অঞ্চল জুড়ে মসজিদ মন্দির প্যাগোডা আর পশ্চিম কধুরখীল গ্রামের খ্রিস্টান পাড়ার গীর্জায় ভোর সন্ধ্যায় প্রার্থনা হয় যেন কোন দৈব শ্রষ্টা কখন করে দিবে স্বপ্নের এই সেতু। তাই শৈশব কৈশোরের নানান সময়ের সেই স্মৃতি নিঙড়ানো সেই নদী পাড়ের স্বজন, প্রান বন্ধু আর সেই জায়গার ভালোবাসার আবেগ থেকে আজ চেষ্টা করছি কিছু ব্যাখ্যা বিস্তারের।
আলোচনার প্রথমে কেনো গুরুত্ববহ এই কালুরঘাট সেতু; কেনোইবা জরুরী, কেমন বিষয়-আশয়, কোন যুক্তিতর্কে আর তার সমূলক কী অবস্তা-অবস্তান, তা খুব কী কঠিন কাজ এই কালুরঘাট সেতু নতুন করে স্হাপন করা, আজকে প্রগতি আর সমৃদ্ধির সোনালী সোপানের সাথে তালে তাল মিলিয়ে যখন এগিয়ে চলছে আমার স্বদেশ। অবাক হই, হই বিস্মিত আবার কেনো এই সুসময়ে শুনি গগন বিদারী চিৎকার বিক্ষুব্ধ শ্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ । চিন্তার বিস্তারে বার বার ব্যাবচ্ছেদ হয়, সম্ভবনা, সংকট সংশয়ের যোযিত যোজনে আজকের প্রেক্ষাপটে একটা আধুনিক কালুরঘাট সেতু জরুরী! একান্তভাবেই জরুরী!!উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, আর সার্বিক সংযোগে
আজ তা ন্যায্যতই জরুরী!!!
আসি মূল প্রসঙ্গে, তা এভাবে যদি শুরু করি, ইংরেজ প্রাজ্ঞ আমলাতন্ত্র গুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বের সমর আর তাদের উপনিবেশিক বিস্তার আর দীর্ঘায়নে কৌশলগত অবস্তান নিয়ে যখন চিন্তিত, তখনি বৃটিশ সম্রাজ্যের সূর্য না ডোবা অনেক দেশের ন্যায় এতদা অঞ্চলের সাম্যক ভূ-অবস্তান বিবেচনায় আজ যে ঐতিহ্যের স্কারক কালুরঘাট (১ম কর্ণফুলী) সেতু, তা নির্মিত। তাই তাদের উর্বরা ভূ- জ্ঞান এ তাই সুবিশ্লেষিত, তাই কেনো অতীব জরুরী, তা প্রাগ ঐতিহাসিক আজ এবং পূর্বেকার আলোচনা থেকে আমরা বুঝেই নিতে পারি।
কাল যুগ পেরিয়ে সভ্যতা আর তার সমৃদ্ধ উপযোগে দরকার ছিলো দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতু, সেটা হলোই, অবিরাম চলছে প্রবাহ, মিটিয়ে যাচ্ছে সময়সাপেক্ষ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সামগ্রিক যান-পরি বহনের যোগান-চাহিদা স্ববিস্তর অর্থনীতি।
তাই তাহলে কী ফিকে হয়ে যাবে প্রথম সেতু (কালুরঘাট সেতু) গুরুত্ব আর যোগাযোগ প্রবাহ।
ব্রিটিশ সরকারের আমলে ১৯৩০ সালে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আজও দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। সেতুটির ব্যবহার এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ;বলা চলে এখন ভাঙ্গে; তো তখন ভাঙ্গে। কিন্তু তারপরও অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ সেতুর উপর দিয়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে, চলছে সময় ধরে সূচী ভুক্ত দোহাজারী আর শহরগামী ট্রেনগুলো, ভারী যানবাহন আর প্রান হাতে নিয়ে পারাপার হয় হাজারো মানুষ।
চট্টগ্রাম শহরের সাথে বোয়াখালীর একমাত্র সংযোগসেতু হচ্ছে এই চরম ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। ২০০১ সালে, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন কিন্তু আজও নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ, চলছে আশ্বাস প্রশ্বাসের ফুলঝুরি। নদীর প্রবহমান স্রোত আর জীবন-জীবিকা এপাড় ওপাড়ের মানুষগুলোর কাছে সমান্তরাল, তারপরো প্রভুত দৈব বিপদ আর জীবনবাদের তারনায় এই প্রত্যহ মরণ সেতু দিতে হয় পারি।
উল্লেখ্য, কালুরঘাট রেল এবং সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকবার জরিপ হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে রিপোর্ট আর তার ফলশ্রুতিতে নমুনা নকশা সমন্বিত প্রকল্প বিন্যাস বিবরণী। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৬৩.২৭৮১ কোটি টাকা। যার মধ্যে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব কোরিয়া ৭৮৩.৪৯৩১ কোটি টাকা প্রদানে সম্মত হয়েছেন। যে টাকা প্রদান করতে হবে ৪০ বছরে ০.০১% সরল সুদে। প্রকল্প নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণ মেয়াদকাল হচ্ছে জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। কেনো কী বিষয়ে বা কোন অজ্ঞাত কারণে সেতুর বাস্তবায়ন কাজ আজও শুরু হয়নি তা যদি শুরু হতো এতোদিনে বিশাল একটা অংশের কাজ শেষ হয়ে যেতো।
প্রাক সমীক্ষা সহ নানান রকম পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আমরা তুলনামূলক যেসব বলে বিষয় ব্যাপ্তি গুলো প্রকাশ্য পাই তা অন্য সবার মতো আমি তুলে ধরলামঃ
[ ] টেকনাফ পর্যন্ত রেল যাবে,
পর্যটন বাণিজ্যের অপার সম্ভবনাঃ
বর্তমান যে দৃশ্যমান প্রকল্প আমরা বিচার বিবেচনায় আনতে পারি তা হলো চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের যে মাস্টারপ্ল্যান, তা যদি ফলপ্রসূ ও যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের অপার সম্ভবনা ও পর্যটন বাণিজ্যের সুযোগ বহুমাত্রিক ভাবে লাগানো যাবে যা কক্সবাজার কে পরিণত করবে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত পর্যটন ক্ষেত্র।
সেই চলমান প্রকল্পের সৌন্দর্যের মান ও গতির সাথে কোন ভাবে পুরোনো হয়ে যাওয়া কালুরঘাট সেতু তাল মিলাতে পারবে না, তাই ভাবনার সকাশে নতুন কালুরঘাট সেতু।
[ ] পর্যটন অঞ্চল গঠন করার অপার সম্ভবনাঃ
যদি পর্যটন শিল্পের বিকাশ আর প্রকৃতিগত ভাবে গড়ে উঠা একটা পর্যটন স্থানের কথা ভাবি তাহলে হালদা কর্ণফুলীর মিলনস্হল আর আধুনিক নান্দনিক ভাবনার নতুন কর্ণফুলী সেতু হবে উত্তর দক্ষিণ জেলার থানা সমুহের আর মহানগরে নাগরিক সহ দেশবিদেশের প্রকৃতিজ সৌন্দর্য পূজারী পর্যটক দের সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণের অন্যতম আদর্শ তীর্থ আর নীরবে বহুমাত্রিক স্বদেশীয় শিল্প বিকাশ এবং যা সেই সাথে সমৃদ্ধ করবে দেশীয় রাজস্ব সম্ভারকে। বদলে যাওয়া দিন আর সমৃদ্ধ চিন্তা চেতনায় আজ কালুরঘাট সেতু, এটা সময়ের দাবী।
[ ] বোয়ালখালী + নতুন কালুরঘাট সেতু=
নতুন বর্ধিঞ্চু চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম এখন প্রতিনিয়ত বহুধা বর্ধিঞ্চু এক নাগরিক জনপদ। নানা রকম সমস্যা সংকটে জর্জরিত আর সব ছাপিয়ে যে সমস্যা সর্বোত্তম প্রণিধানযোগ্য আর তা হলো জনসংখ্যা আর আবাসান সমাস্যা ও সংকট আর সেই সাথে নানা মৌলিক চাহিদার ব্যাপকতায় সেই সাথে কালুরঘাট সেতু আর সন্নিবেশিত উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্তা তা আপত বহুলাংশে এই সংকটের বিরাট অংশ সমাধান দিতে পারে। সেই সাথে বোয়ালখালী দক্ষিন রাঙ্গুনিয়া, পটিয়ার বিশাল অংশকেও যদি মূল শহরের সাথে এই সেতুর মাধ্যমে একীভূত করা যায় তাহলে ঐতিহ্যে গত ভাবে শিক্ষায় অগ্রসর, আধুনিক চিন্তা আর মনমানসিকতায় সমৃদ্ধ এই জনপদে তাদের এই যোগাযোগ ব্যবস্তাকে যথাযথ ভাবে উপভোগ করতে পারলে তারাও আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে।
[ ] শিল্পাঞ্চল স্হাপন আর কর্মসংস্থানঃ
যমুনা সেতুর হওয়ার পরে বৃহত্তর সিরাজগঞ্জ, বগুরা সহ উত্তরবঙ্গের যে শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ বিস্তার অব্যাহত রয়েছে এবং বর্তমানে পদ্মাসেতুর স্হাপনা বিকাশে যে পরিমান শিল্পউন্নয়োন হবে আর তা বাস্তবায়ন করতে গুয়ে যে বিশাল টাকার বিনিয়োগ সেই আপেক্ষিকতার নিরীক্ষায় বলতে পারি একটা আধুনিক প্রযুক্তিগত ভাবে পরিকল্পিত কালুরঘাট সেতু বৃহত্তর বোয়ালখালী পটিয়া কে অন্য এক শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আর বন্দর নৌপথ সমূদ্রপথ নৈকট্য তা জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে অর্থ সঞ্চার করবে, কোষাগার কে করবে সমৃদ্ধ,
আর দেশকে নীরবে করবে উন্নত।
এমন শত শত নতুন সম্ভবনার উপযোগ আর কর্মসম্ভারের সৃষ্টি সৃজনে নতুন নতুন ইতিহাস হবে নতুন কালুরঘাট সেতু সেই সাথে আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্তাপনা।
সবকিছুই ছাপিয়ে দাবী টা আজ ন্যায়ত, যৌক্তিক এবং প্রণিধানযোগ্য, একটা নতুন রেল এবং সড়ক সমন্বিত কালুরঘাট সেতু।
যে কর্ণফুলীর কালুরঘাট রেল সেতুর বয়স আজ প্রায় ৯০ বছর। বয়স-বার্ধক্যে এই সেতু এখন আর বয়সের ভার বইতে কী পারছে। মনে হয় প্রতিনিয়ত স্বয়ং ঈশ্বর ওখানে আছে আর নীরবে দৈব নিশ্চিত দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করছে জান মাল আর বুড়ো সেতুটাকে।
[ ] প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটঃ
কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা রক্ষা করতে হবে যা বাঁচিয়ে রাখবে চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা এগিয়ে নিবে সমৃদ্ধি আর তার ভিত্তিতে বন্দর দফতর চত্বরে লিখিয়ে রাখা সেই কথা
” Country moves with us” হবে যুক্তিযুক্ত।
আর তাই চাই কর্ণফুলী ও হালদা নদীরক্ষা করে, বন্দর ও পরিবেশ বান্দব, নাগরিক চাহিদা, উন্নয়ন,সমন্বয় সবকিছুর মিশেলে একটা কালুরঘাট সেতু। যা আজ কাল করে যতই বিলম্বে হবে ততই ব্যায় খরছ সব কিছু সময়াতীত ভাবে বাড়বে যা দেশ দশের খরছ হিসেবে প্রতীয়মান হওয়া খুবই জরুরী।
জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে টিকে আছে। তার পরও যানবাহন চলাচল করছে সমানে, বরং দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে আগের তুলনায় বেড়েছে কয়েক গুণ। ফলে দিনে দিনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতুটি। ২০০১ সালে রেলওয়ে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে অথচ এই একমুখী রেল সেতুই দক্ষিণ চট্টগ্রামের একাংশের মানুষের অন্যতম উপায় অবলম্বন।
দৈব দূর্ঘটনায় যদি রেলগাড়ী সমেত নদীবক্ষে এই সেতু ভেঙ্গে পড়ে অথবা চলমান গাড়ীর বহর নিয়ে যদি হয় একটা অনাকাঙ্খিত কিন্তু মানব সৃষ্ট দূর্ঘটনা তা দেশ-বিশ্ব আর মানবিকতা আর সরকারের উদাসীন্যতার একটা কলঙ্ক তিলক হয়ে থাকবে। কেউ ক্ষমা করবে না, সেসময়।
সেতু দিয়ে বোয়ালখালী, পটিয়ার একাংশ ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রাম, দক্ষিন রাঙ্গুনিয়া বান্দরবান ও কক্সবাজারের যানবাহনও চলাচল করে বৈকি, তা এখনো দেশের অনেক দামী আর অগুরুত্বপূর্ণ স্হাপনার চেয়ে ঢেরবেশি যোগাযোগ প্রয়োজনীয় তা মিটিয়ে চলছে।
আমরা কী বীর চট্টলার সেই প্রাগৈতিহাসিক সাহস সৌর্য কে ধুলোয় মিশিয়ে দিবো এই ১২০০ (প্রায়) কোটি টাকা সমেত আজকের দিনের মামুলী এক বাজেট প্রক্ষেপিত স্থাপনার নতুন কালুরঘাট সেতুর কাছে।আত্মগ্লানি আর বিবেকবোধ আজ আমাদের কোথায় সেই সূর্যসেন, প্রীতিলতা, এম এ আজিজ, এম এ মান্নান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী আর মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো বিক্ষুদ্ধ আজকের প্রতিমূর্তিরা তথাপি প্রবীন নেতা সাবেক মন্ত্রী তথা ঐতিহ্যেবাহী কানুনগোপাড়া কলেজের গর্ব ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, কর্ণফুলীর উত্তর জনপদ উনারই আংশিক সংসদীয় আসন ড. হাসান মাহমুদ, দীর্ঘ দিন যাতায়াত সেবা নিয়ে বর্তমান কর্ণফুলী সেতু না হওয়ার আগ পর্যন্ত আনোয়ারার মাননীয় ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সংসদের মাননীয় হুইপ বোয়ালখালী সংলগ্ন পটিয়ামুখী যাত্রী সাধারনের মাননীয় সাংসদ শামসুল হক, বর্ষীয়ান রাজনীতি বিধ বাংলাদেশের সংসদের বাগ্মী শিল্পী তথা এই কালুরঘাট সেতুর এপাড় ওপারের সাংসদ জননেতা মইন উদ্দীন খাঁন বাদল, জননেতা মোসলেমউদ্দীন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বি এস সি, বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের তারুণ্যে উচ্ছল তূর্কি নেতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আস্থাভাজন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টলার মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাসিরউদ্দিন, জননেতা রেজাউল করিম চৌধুরী,সাবেক সিডিএ চ্যায়েরম্যান আবদুচ ছালাম এবং সর্বোপরি রেল মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিঠির সভাপতি রাউজানের জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর মতো নেতা, নেতৃত্বে বলীয়ান মহান সংসদের কারিগরী স্বত্তা গুলো যদি সোচ্চার হয়, সবাই মিলে মিশে একসাথে যদি আওয়াজ তুলে, মাঠ থেকে এই দাবীর প্রতি যদি প্রতিবাদের জনজোয়ার সৃষ্টি করে তাহলে ধরেই নিবো আগামী ২০২২ থেকে নতুন কোন ভোরে কালুরঘাট সেতু দিয়ে মানুষ এপার-ওপার করবে। কেননা আমাদের চলতি সময়ের এই সব মহান নেতারা সবাই এই ব্রিজ সন্নিকট এলাকার সংসদীয় সদস্য অথবা শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যায়ভুক্ত আর অতীত ইতিহাস এবং এই কালুরঘাট সেতুর কাছে তারা অবশ্যই ঋনে আবদ্ধ।
আবেদন নিবেদন দাবী আদায়ে প্রতিনিয়ত আকাশ বাতাস ভারী হয়, নেতারা আসে আশ্বাস আর প্রশ্বাস এর লম্বা ফিরিস্তি চলে, ভোট আসে ভোট যাই হয় না কিছুই, প্রবহমান কর্ণফুলির উপর দাড়িয়ে থাকা কালইতিহাসের স্বাক্ষী স্বরাজ কালুরঘাট সেতু চিৎকার দিয়ে বলে, হে রক্ষাকর্তা আমার দিকে থাকাও একবার আমি শতাব্দী ছুই এক পারাপার আর কী পারি! এবার আমায় উদ্ধার করো, করো ন্যায্য সৎকার আর নতুনদিনের নতুন পারাপার করে দাও এই তল্লাটে ফিরে আসুক নিত্য চাঞ্চল্য আর উজ্জীবনী প্রাণশক্তি।