ঢাকা ও কলকাতায় চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন জয়া আহসান। কলকাতায় তার কাজের ব্যস্ততা ও সাফল্য ঢের বেশি। তাই বছরের বেশিরভাগ সময় সেখানেই থাকতে হয় তাকে। আর এই বসবাস-কর্মযাত্রায় টলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে জয়ার। সুযোগ পেলেই যারা জয়া-বন্দনায় মেতে ওঠেন।
যেমনটা করলেন অভিনেত্রী মুমতাজ সরকার। যিনি এখন অবস্থান করছেন ফ্রান্সের কান শহরে, বিখ্যাত কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুমতাজ। কথা বলেন তার কান-যাত্রা ও নানা প্রসঙ্গে।
জয়ার নাম তুলতেই মুমতাজ বলেন, ‘জয়াদির অনেক বড় ভক্ত আমি। তার কাজ খুবই পছন্দ করি। জয়াদির সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়। ভেতর-বাহির দুদিক দিয়েই তিনি অসাধারণ মানুষ।’
কান সফর নিয়ে মুমতাজের ভাষ্য, “ভীষণ এক্সাইটেড লাগছে। প্রচণ্ড প্রাউড ফিল হচ্ছে। আমি শুধু বাংলা না, হিন্দি, তামিল, তেলুগু সব ভাষায় ছবি করি। বাংলাদেশেও ছবি করেছি ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’। সেসব করার পর প্রথমবার কানে এসেছি, তাও বাংলা ছবি নিয়ে, এটা আমার জন্য বিশাল ব্যাপার। আর কান উৎসব পুরো দুনিয়ার সেরা ছবিগুলোর কেন্দ্রস্থল। সেখানে এসে যার দিকেই তাকাচ্ছি, তিনিই কোনও না কোনও ইন্ডাস্ট্রি বা সিনেমার অংশীদার। এমন আয়োজনে এসে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।”
মুমতাজের শেকড় বাংলাদেশে। তার দাদার বাড়ি টাঙ্গাইলে। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমার বাবা পিসি সরকার জুনিয়র। তিনি ওপার বাংলারই (বাংলাদেশ) মানুষ। তো সেই হিসেবে আমি বাংলাদেশের নাতনি। আমার দাদুর বাড়িও আছে সেখানে। ‘মায়া’র শুটিংয়ের সুবাদে প্রথমবার বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আর মনে মনে দাদুকে বলছিলাম, দাদু আমি এসেছি এখানে।”
মাসুদ পথিকের নির্মাণে ‘মায়া’তে কাজ করার পর আরও কিছু ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন মুমতাজ। তবে সব মিলিয়ে করা হয় নি। ভালো গল্প-চিত্রনাট্য পেলে যেকোনও সময় এখানকার ছবিতে কাজ করতে ইচ্ছুক তিনি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম