প্রবাস ডেস্কঃ ইদানীং বেশকিছু দিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা কর্মকান্ড আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়ে উঠছে দেশজুড়ে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন্দল, দলের হাইকমান্ড নিয়ে ফ্রিস্টাইল কথাবার্তা, চেইন অব কমান্ড না মানা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে আওয়ামী লীগ এমনিতেই অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দুই বছরেরও কম সময় বাকি। এরই মধ্যে এই ধরনের কর্মকান্ড দলকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। সম্প্রতি আরও একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের টরন্টো ফ্লাইট শুরু করেছে গত শনিবার। শনিবার রাতে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের বিজি–৩০৫ ফ্লাইট ৭০ জন যাত্রী নিয়ে টরন্টোর উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় রোববার পৌঁছায়। বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও সেই ফ্লাইটে কানাডার টরন্টোতে যান। সেখানে গিয়ে মনির ইসলাম নামে এক বিএনপি নেতার সঙ্গে ঘোরাফেরা এবং তার সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানকেও তার সঙ্গে দেখা গেছে।
খােঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনির ইসলাম দীর্ঘ বহু বছর বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি তৎকালীন সময়ে বিএনপি’র বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কানাডাতেও তিনি বিএনপি’র বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেন। তার সঙ্গে কানাডা বিএনপি’র একটি যোগসাজস রয়েছে।
এছাড়াও বিএনপি’র ক্যাডার হিসেবে মনির ইসলাম কানাডায় সুপরিচিত। তিনি কানাডায় আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার কর্মকান্ডের বিরোধী। এই মনির ইসলামই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে “মাদার অব ডেমোক্রেসি” সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। তিনি ও তার গ্রুপ র্যাবের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরকম একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেশের একজন মন্ত্রীর ঘোরাফেরা মোটেও সমীচীন দেখায় না। এতে করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে কানাডায় আওয়ামী লীগ একটি সংকটের মধ্যে পতিত হচ্ছে। এই বিষয়টি সম্পর্কে দল থেকে পদক্ষেপ দেওয়া উচিৎ। নইলে এরকম বিষয় আরও ঘটতে থাকবে। এটি তখন দলের জন্য ভালো হবে না।