মো আমিন আহমেদ, সিলেট প্রতিনিধি: কানাইঘাটে উপজেলার বড়মাগুরী বিলের একাংশের লীজ প্রক্রীয়া নিয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ৬জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায় কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ১২জন বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে বড়মাগুরী বিলের একাংশে সরকারি জায়গা লীজ দেওয়া হয়। গত ২ বছর ধরে লীজকৃত বিলের জায়গা নীলামের টাকা নিয়ে সদর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম ও অপর পক্ষের মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সকাল ১১ টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলামের ৩ ছেলে ও তাদের স্বজনরা বড় মাগুরী বিলে উপস্থিত হয়ে বিলের লীজের তাদের পাওনা টাকা লীজকারীদের কাছে খোঁজতে গেলে এ নিয়ে বিলের পাড়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। উভয় পক্ষ দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এতে আহত হন মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলামের ছেলে জাকারিয়া খালিদ (৩৮), অহিদুল ইসলাম (৩০), জাহিদুল ইসলাম (২৭), ফখরুল ইসলামের নাতি সামিয়ান তানিম (২১) তাদের স্বজন আব্দুল হামিদ (২৩), জালাল উদ্দিন (২৮), ইসলাম উদ্দিন (৩৪) অপর পক্ষে আহত হন বড়দেশ নয়াগ্রামের সামছুলকের পুত্র জাকারিয়া (৩৫) ও তার ভাই শরীফ আহমদ (৩২) একই গ্রামের আওলাদ হোসেনের পুত্র জাকারিয়া আহমদ (৩০) আহতদের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় গুরুতর জখম হওয়ায় জাকারিয়া আহমদ, শরীফ, জাকারিয়া ও অহিদুল ইসলাম, জাকারিয়া খালিদ ও জাহিদুল ইসলামকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের উপজেলা হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ফখরুল ইসলামের দায়েরকৃত অভিযোগের আসামী বড়দেশ (পাঁচঘরি ) গ্রামের ফারুক আহমদকে থানার পাশ থেকে গতকাল বিকেল ২টার দিকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
এব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলামের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বড়মাগুরী বিলের পাড়ে মারামারির ঘটনার সাথে জড়িত ফারুক আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক মারামারির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।