ইরানের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে ৩৫ মিনিট সময় লাগে ইংল্যান্ডের। ৩৫তম মিনিটে দুর্দান্ত হেডে ইরানের গোলের তালা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। সেই থেকে শুরু। পরে যেন গোল উৎসবে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড।
ইরানের ডিফেন্ড ভেঙে গোল উৎসবে মেতে ওঠে ইংলিশরা। একে একে ইরানের জালে বল পাঠায় ছয়বার।
প্রথম গোলের সাত মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করেন বুকায়ো সাকা। তৃতীয় গোল আসে প্রথমার্ধে দেওয়া অতিরিক্ত এক মিনিটে। এবার গোল করেন রাহিম স্টার্লিং।
তিন গোল দিয়ে বিরতিতে যায় ইংলিশরা। তখনো ইংল্যান্ডের গোলবারে বল পাঠাতে পারেনি ইরান।
বিরতি শেষে মাঠে নেমে আবারও গোলের স্বাদ পায় গ্যারি সাউথগেটের শিষ্যরা। এবারও পায়ের ছন্দ দেখান বুকায়ো সাকা। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এই ফুটবলার।
৭১ মিনিটে গোল করেন মার্কাস রাশফোর্ড। পরিবর্তী হিসেবে মাঠে নামার ৪৯ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল পান রাশফোর্ড। ৮৯ মিনিটে দলের শেষ গোল করেন জ্যাক গ্রালিশ।
দেড় হালি গোল দিয়ে দুটি গোল হজমও করে ইংলিশরা। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক আক্রমণে বল নিয়ে ভেতরে ঢোকেন গোলিজাদেহ। সেখান থেকে মেহদি তারেমিকে বল দিলে দারুণ শটে বল জালে জড়ান এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে আরো একটি গোল শোধ করে ইরান। তাদের দুটি গোলই তারেমির।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের ফেভারিট মেনেই মাঠে নামে ইংল্যান্ড। মাঠে নেমেই নিজেদের ফেভারিট মনে করার প্রমাণও দিয়েছেন ফুটবলাররা। ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়েন গ্যারি সাউথগেটের শিষ্যরা।
আজ দিনের প্রথম খেলায় আল রাইয়ানের খলিফা স্টেডিয়ামে এশিয়ান টিম ইরানের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড।
/কেএইচএস/