মহামারি করোনার কারণে ছুটিতে থাকা অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের রিটার্ন পারমিটের জন্য জরিমানা মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে কাতার সরকার। এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন কমিউনিটি নেতারা। ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস।
কাতারের আইন অনুযায়ী যেকোনো আকামাধারী অভিবাসী ৬ মাসের বেশি সময় ছুটিতে থাকলে জরিমানা হিসেবে রিটার্ন পারমিটের জন্য ৫০০ কাতারি রিয়াল ফি গুণতে হতো। করোনার কারণে নিজ দেশে আটকেপড়া অভিবাসীদের এই ফি মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
পাশাপাশি অভিবাসীদের আকামার মেয়াদ তিন মাস শেষ হওয়ার পরে প্রতিদিন গড়ে ১০ রিয়াল জরিমানাও না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রবাসী ও কমিউনিটির নেতারা।
কাতার কমিউনিটির এক নেতা বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশি প্রাবাসী যারা রি-এন্ট্রি পারমিট পেয়েছেন তারা যেন দ্রুত আসার জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে, ছুটিতে থাকা সব প্রবাসী কাতার ফিরে আসতে পারবেন, প্রবাসীদের উদ্বিগ্ন না হয়ে ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানান, দূতাবাসের কাউন্সিলর।
কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলঅর ড. মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনমাস পররবর্তী সময়ে কাতার আইডির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিনের জন্য যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা গুণতে হতো সেটি এখন থেকে আর লাগবে না।
অভিবাসীদের কাতার ফিরে আসার জন্য স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ ৪০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকলেও শর্তসাপেক্ষে কাতার পোর্টাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে আবেদন করে যাদের অনুমতি মেলেনি, তারা এক মাস পরে আবারো আবেদন করতে পারবেন।