দুই স্বাগতিক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ২০০২ বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছিল। সে আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল জাপান। আরেক স্বাগতিক তো এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে রেকর্ড গড়ে সেমিফাইনালে উঠে যায়।
ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার মার্সেল দেশাই কাতার বিশ্বকাপেও দেখছেন স্বাগতিক দেশের চমক দেখানোর সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে বলছেন, বিশ্বকাপ জিততে পারে আর্জেন্টিনা।
বিশ্বের নানা প্রান্ত ঘুরে বিশ্বকাপ ট্রফি এখন কাতারে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এবারের বিশ্বকাপের নানাদিক নিয়ে কথা বলেন ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার মার্সেল দেশাই। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এবার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শিরোপা জিততে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর ছিল, ‘আর্জেন্টিনা কেন নয়?’
এসি মিলানের সাবেক এই খেলোয়াড় এরপর বলেন, ২০০২ সালের পর দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল বিশ্বকাপ জেতেনি। হয়তো এবারই দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দলের সময়।
ফেবারিটের তালিকায় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলকে এগিয়ে রাখলেও নিজের দল ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে খুব বেশি পিছিয়ে রাখছেন না দেশাই। করিম বেনজেমা-কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তারকাদের নিয়ে গড়া দলের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ফুটবলে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে, এটাই খেলাটির জাদু।
কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার দেশে বিশ্বকাপ। সেবারের আসরে সেমিফাইনালে উঠে চমক দেখিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। দেশাই মনে করেন এবার স্বাগতিক কাতার তেমন চমক দিতে পারে। তার অনুমান দেশটি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারে।
ক্যারিয়ারের শেষদিকে তিনি নিজেও কাতারে ফুটবল খেলেছেন। কাতারি ক্লাব আল ঘারাফার হয়ে ২০০৫ সালে জিতেছেন কাতার স্টারস লিগ। তখনকার তুলনায় দেশটি ফুটবলে এগিয়েছে অনেক। তাই দেশাই মনে করেন, ২০০২ সালে আমি কোরিয়া-জাপানে খেলেছি। সেবার কোরিয়া খুব ভালো খেলেছিল। তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল এবং সেমিফাইনালেও খেলেছিল। এটা অসাধারণ এক ব্যাপার ছিল। আমরা তাই প্রার্থনা করছি, কাতার যেন দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে।
আফ্রিকার দেশ ঘানায় জন্ম নেয়া দেশাই চান আফ্রিকার দেশগুলো এবার বিশ্বকাপে ভালো করুক। ২০১০ বিশ্বকাপে সবশেষ আফ্রিকান দেশ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ঘানা। দেশাই চান এবার অন্তত একটা দেশ সেমিফাইনাল খেলুক। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আফ্রিকার দেশগুলো সেমিফাইনালে খেলবে। কারণ, বিশ্বকাপের ৯০ বছরের ইতিহাসে আফ্রিকার কোনো দেশ সেমিফাইনালে ওঠেনি।
উল্লেখ্য, আফ্রিকা থেকে ঘানা ছাড়াও সেনেগাল, তিউনিসিয়া ও মরক্কো বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।