২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও, এটাই আপাতত সবচেয়ে বড় সত্যি। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের চিকিৎসকেরা সতর্ক করতে শুরু করেছেন যে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীনই কাতারে ক্যামেল ফ্লু ছড়াতে পারে। এই অসুখটি করোনা ভাইরাস এবং মাঙ্কি পক্সের মতোই সাংঘাতিক হতে পারে।
ফিফা বিশ্বকাপ দেখতে গোটা বিশ্বের ফুটবল সমর্থকেরা আপাতত কাতারে ভিড় জমিয়েছেন। ইতিমধ্যে ক্যামেল ফ্লু নিয়ে সতর্কবার্তা যে আগামীদিনে বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে, তা বলা যেতেই পারে।
নিউ মাইক্রোবস অ্যান্ড নিউ ইনফেকশন নামক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ দেখতে গোটা দুনিয়া থেকেই হাজার হাজার ফুটবল সমর্থক কাতারে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, এই সময় সংক্রামক রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। সমর্থক এবং স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি ফুটবলাররাও এই ক্যামেল ফ্লুয়ে আক্রান্ত হতে পারেন।
✪ আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ দেখতে এসে মেক্সিকান সমর্থকের ইসলাম গ্রহণ
ক্যামেল ফ্লু ছাড়াও আরও কয়েকটি সংক্রামক ব্যাধি এই সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে। ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ব্যাক্টর-জনিত রোগ যেমন ত্বকের লিশম্যানিয়াসিস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, ব়্যাবিজ, চুলকানি, হেপাটাইটিস এ এবং বি’র মতো রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের পক্ষ থেকে এমনই একটি ভাইরাসের হদিশ দেওয়া হয়েছে, যা আগামীদিনে অতিমারির আকার ধারণ করতে পারে।
গোটা দুনিয়া থেকে প্রায় ১.২ মিলিয়ন সমর্থক কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন। করোনা অতিমারির প্রকোপ কম হওয়ার পর ফিফার পক্ষ থেকে এত বড় মাপের একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই ঘটনার মোকাবিলা করার জন্য একেবারে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। ক্রমাগত বিষয়টির উপরে নজর রাখা হয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই রোগের প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিদেশি সমর্থকদের নিয়মিতভাবে টিকাকরণ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে নিয়ম মেনে খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করার আবেদন করা হয়েছে।’
✪ আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানে গড় পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ
পাশাপাশি কাতারে যে বিদেশি সমর্থকেরা আসছেন, তাঁরা যাতে উটের পিঠে চেপে ভ্রমণ না করেন, সেই বিষয়েও আগাম সতর্ক করা হয়েছে। এই উট থেকেই ঘাতক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লন্ডনের ওয়েবসাইট IFL-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে ২০১২ সালে প্রথমবার সৌদি আরবে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছিল। সেটাও আবার কাতারের একেবারে সীমান্তে। তারপর থেকে ২৭টি ভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের কারণে মোট ৯৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ২,৬০০ কেস সামনে এসেছে।
এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল প্রচন্ড জ্বর, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা এবং কাশি। পাশাপাশি এমন লক্ষণ দেখা দিলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।