মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের উপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজ এক বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পার হয়ে গেল তিন বছর এতেও সমাপ্ত হয়নি কাজ। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় বেড়েছে চরম ভোগান্তি এলাকাবাসীর।
এছাড়াও ব্রিজের পাশে বিকল্প কোনো সড়ক না রাখায় দুই পাশের মানুষের যোগাযোগও চলাচলের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কাগজপত্রে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন দেখালেও বাস্তব চিত্র শুধু মাত্র ১৮টি পিলার পাইলিং করা হয়েছে।
আদমপুরের উত্তর কানাইদেশি ভায়া কাউয়ারগলা সড়কের রাজকান্দি ফরেস্ট সংলগ্ন লাউয়াছড়ার উপর ব্রিটিশ আমলের একটি জরাজীর্ণ কাঠের সেতু ছিল। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি সিলেট বিভাগের গ্রামীণ এ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি টাকা।
২০২০ সালে নির্মাণ কাজের টেন্ডার পায় ভোলার ইতি এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজ শুরুর প্রথমে বনবিভাগের বাঁধার মুখে কাজ শুরু হতে দুই মাস দেরি হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে ৪ঠা জানুয়ারি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও তিন মাস সময় বাড়ানো হয়। তবে শুধু কাজের কাজ মাত্র ১৮টি পিলার পাইলিং করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এখান থেকে কাজ গুটিয়ে চলে যায়।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বিশ্বস্ত সূত্র ও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তৈরি পিলারের বের হয়ে থাকা রডে মরিচা পড়ে গেছে। ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। ওই সড়ক ব্যবহার করে আদমপুরে আসা যাওয়া করতেন স্থানীয়রা। কিন্তু ব্রিজটি সম্পন্ন না হওয়ায় এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতি এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তাদের ফোন করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানতে পেরেছি, এলজিইডি কমলগঞ্জ অফিস থেকে ঢাকা অফিসে ৮ মাস আগে এ গার্ডার ব্রিজটির কাজ বাস্তবায়ন ৪০ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকা অফিস হতে বারবার ব্রিজটির কাজ সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসবে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না।’
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি এ জেলায় নতুন। নতুন করে এ ব্রিজের নির্মাণ কাজের টেন্ডার দেওয়া হবে অতি শীঘ্রই।’
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান